গেজেট প্রকাশে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ‘রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে’ উল্লেখ করে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ সোমবার এই সময় দিয়ে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিষয়টি মুলতবি করেছেন।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিবকে আজ (১২ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী দুই সচিব আদালতে হাজির হন।
এদিকে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭ সংশোধনকল্পে সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত খসড়া গেজেটে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা নেই মর্মে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোশতাক আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গতকাল রোববার এই তথ্য জানানো হয়। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠি গতকাল সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়।
বিষয়টি প্রসঙ্গে আজ আদালত বলেন, এটি ভুল বোঝাবুঝি। আদালত মাসদার হোসেন মামলার রায় দুই বার রিভিউ করেছেন। দেশে সংবিধান আছে, বিচার বিভাগেরও সংবিধান আছে। একটি প্রজ্ঞাপন করে দিলেই হবে। সরকারের কিছু হবে না। সরকার মাসদার হোসেন মামলার রায় মেনে নিয়েছে। রায়ের ৮০ ভাগ কার্যকর হয়েছে। ভুল ফাইল পাঠানো হয়েছে।
১৫ মিনিটের শুনানিতে আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আইনসচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বলেন, সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আদালত বলেন, তাঁরা ফাইল তলব করতে চান না। সংঘাতে যেতে চান না।
আইনসচিব বলেন, সরকারের ওপর থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই সারসংক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি নিজে তা করেননি।
আদালত বলেন, তিনিও (আইনসচিব) বিচার বিভাগের সদস্য। ওপর থেকে নির্দেশে করতে হলে তাঁকে রাখা হবে না। সাবেক আইনসচিবকে একই কারণে সরানো হয়েছে। তিনি ভুল করছেন।
একপর্যায়ে আইনসচিব বলেন, যেভাবে আদেশ দেবেন, সেভাবে করা হবে।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।