সব স্তরের শিক্ষায় জাতীয় ইতিহাস চালুর সুপারিশ

71রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে শিক্ষার সকল স্তরে ‘জাতীয় ইতিহাস’ নামে একটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
একইসঙ্গে সরকারি কলেজগুলোতে ইতিহাস বিষয়ে নতুন সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টিরও সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর এর সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন বিষয় চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ও কমিটির মঙ্গে একমত পোষণ করেছে।”

বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য ও কারিগরীসহ প্রতিটি বিভাগ এবং স্নাতক পর্যায়েও এ বিষয়টি সংযোজনে কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে কলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন জানান।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবই সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসাবে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বইয়ে প্রায় ৩০টি নতুন অধ্যায়ও সংযোজন করা হয়।

সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রে বলা হয়, দেশের ২৬২টি সরকারি কলেজের ১০৮টিতেই ইতিহাস বিষয় পড়ানো হয় না। দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রসার কোনোটিতেই ইতিহাস বিষয় নেই।

সরকারি কলেজগুলোতে ইতিহাসের অধ্যাপকের পদ আছে মাত্র ১৪টি। সহযোগী অধ্যপকের পদ আছে ৯৭টি, সহকারী অধ্যাপক ১৬৫টি এবং প্রভাষকের পদ ৩১৪টি।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, “কলেজগুলোতে সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টির জন্যও বলা হয়েছে।”

বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে একটি স্মারকলিপি দেয় হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের স্বাক্ষর করা ওই স্মারকলিপিতে দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজে বাধ্যতামূলক ইতিহাস বিভাগ রাখার দাবি জানানো হয়।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন থেকে শুরু করে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগের শাসনামল পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তাবিত একটি পাঠ্যক্রমও কমিটির কাছে তুলে ধরেছে সংগঠনটি।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, হুইপ মির্জা আজম, হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব, মো. শাহ আলম এবং মমতাজ বেগম এ বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাছের চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রফিকুল হক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মান্নান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম খান, অধ্যাপক সুলতানা নিগার চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ