রুবেলের কীভাবে যেন হয়ে যায়
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিপিএল শেষে নীরবতার চাদরে ঢাকা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এখন জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আনাগোনা নেই। থাকার কথাও নয়। দলের প্রায় সবাই যোগ দিয়েছেন সিডনির প্রস্তুতি ক্যাম্পে। কিন্তু জিমে একজনকে পাওয়া গেল আজ—রুবেল হোসেন। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় তিনি রওনা দেবেন কাল। সময়টা কাজে লাগাচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিংয়ে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের যত বীরত্বগাথা, তাতে উজ্জ্বল হয়ে আছে রুবেলের নাম। ওয়ানডেতে তাঁর বোলিং গড় যেখানে ৩৩.৩১, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেটি ২২.৩৫। ৬৯ ওয়ানডের ৮৮ উইকেট পাওয়া ২৬ বছর বয়সী পেসারের কিউইদের সঙ্গে ৯ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁর সেরা বোলিংও এই দলের বিপক্ষে, ২০১৩ সালে অক্টোবরে মিরপুরে নিয়েছিলেন ২৬ রানে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট। টেস্টেও তাঁর সেরা বোলিং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে, ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে হ্যামিল্টন টেস্টে নেন ১৬৬ রানে ৫ উইকেট।
নিউজিল্যান্ড কি তবে ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ? বিষয়টা হেসেই উড়িয়ে দিতে চান রুবেল, ‘পরিসংখ্যানের বিচারে হয়তো এমন মনে হচ্ছে। ওদের সঙ্গে আমার রেকর্ড ভালো, বিশেষ করে ওয়ানডেতে।’ সেটা নাহয় হলো। কিন্তু কিউইদের সঙ্গে ভালো করার রহস্যটা কী? লাজুক হেসে রুবেল ফিরে যান ফ্ল্যাশব্যাকে, ‘কীভাবে বলব? সবার সঙ্গেই তো চেষ্টা করি ভালো করতে। ওদের সঙ্গে কীভাবে যেন হয়ে যায়! নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলতে নামলে আগের পারফরম্যান্স মনে পড়ে। ২০১০ সালে ওদের বাংলাওয়াশ করলাম। শেষ ম্যাচটায় ৪ উইকেট নিয়েছিলাম। কাইল মিলসকে বোল্ড করে জিতে গেলাম। ২০১৩ সালে আবার বাংলাওয়াশ করলাম। ওই সিরিজে এক ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছিলাম। আবারও ওদের বিপক্ষে খেলতে নামলে আমাকে অনুপ্রেরণা দেবে পেছনের পরিসংখ্যান।’
নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি ও গতিময় উইকেট রুবেলের মুখে নিশ্চয়ই হাসি ফোটাবে। তবে ব্যাটসম্যানরা প্রচুর রানও পাচ্ছেন সেখানে। বিরুদ্ধ কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন রুবেল, ‘চাইব নিউজিল্যান্ডে গতির ঝড় তুলতে। কিন্তু দেখবেন ওখানে এখন প্রচুর রানও হচ্ছে। দর্শক চায় ম্যাচে প্রচুর রান হোক। তবে নিউজিল্যান্ডের উইকেটে একটু বাউন্স থাকবেই। সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’