সেনা ছাড়া সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সন্দেহ হাফিজের
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে ‘সন্দেহ’ রয়েছে।
আজ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের নগরের শায়েস্তা খান রোডে (পুরাতন কোর্ট এলাকায়) বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ও মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন শেষে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সন্দেহের কথা জানান।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ যে সন্ত্রাসীরূপে আবির্ভূত হয়েছে, তাতে সেনাবাহিনী ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এ ব্যাপারে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ নাগরিক ও ভোটার তো দূরের কথা, প্রার্থীদের এজেন্টরা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ কর্মীদের কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না। তারা কেবল ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে করতে বাধা দিয়েছে। এই ভোট ডাকাতির প্রধান দায়িত্ব পালন করেছে বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী।
দলীয় প্রতীক ছাড়া নারায়ণগঞ্জের গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দোয়াত-কলমের প্রার্থী থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনী চাইলেও সরকার দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবার সেনা মোতায়েনের দাবি থেকে সরে আসার সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।
হাফিজউদ্দিন বলেন, সরকারি দলের এই প্রার্থী গতবারও প্রার্থী ছিলেন। তিনি আকুল হয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনও সেনা মোতায়েনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেনা মোতায়েন করেননি। একই প্রার্থী এবার সিইসির কথার প্রতিধ্বনি করেছেন।
সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের বিজয় ‘অবশ্যম্ভাবী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে প্রতিটি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। প্রতি পদে পদে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও সরকারি লোকজনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হাফিজ।
সংবাদ সম্মেলনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে হাফিজউদ্দিনের সঙ্গে একই সুরে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাও বলেছেন ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। তার কথাও যদি আমরা ধরে নিই, তাহলে শুধু পুলিশ দিয়ে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। এ জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকেও মোতায়েন করতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকারসহ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।