রোহিঙ্গা হামলাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তান ও সৌদির যোগসূত্র আছে: আইসিজি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: গত অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্তে পুলিশের ওপর হামলাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে। ব্রাসেলস-ভিত্তিক দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৯ অক্টোবর ওই হামলায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির মুসলিমপ্রধান রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত এসব সহিংসতায় অন্তত ৮৬ জন নিহত হয়েছে। আর জাতিসংঘের মতে, ২৭ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
হারাকাহ আল-ইয়াকিন নামের একটি গ্রুপ ভিডিও বার্তায় এ হামলার দায় স্বীকার করে। এরপর আইসিজি রাখাইন রাজ্যে এই গ্রুপের চারজনের সঙ্গে এবং মিয়ানমারের বাইরে দুজনের সঙ্গে কথা বলে। ২০১২ সালে দেশটিতে জাতিগত সহিংসতার পর এই গ্রুপটি গড়ে ওঠে। ওই ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ, যাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা।
আইসিজির দাবি, হারাকাহ আল-ইয়াকিন গোপনে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গোপনে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
হারাকাহ আল-ইয়াকিনের নেতা আতা উল্লাহ, যাকে গ্রুপটির নয়টি ভিডিওতে দেখা গেছে। তাঁর জন্ম করাচিতে। তিনি এখন সৌদি আরবের মক্কায় আছেন। তাঁর বাবা অভিবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম।
আতা উল্লাহ পাকিস্তান বা অন্য কোথাও গিয়ে আধুনিক গেরিলাযুদ্ধের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানাচ্ছে আইসিজি।
গ্রুপটির জ্যেষ্ঠ ২০ সদস্যের একটি কমিটি দেশের বাইরে থেকে গ্রুপের কর্মকাণ্ড তদারকি করে থাকে। গ্রুপটির সদর দপ্তর মক্কায় বলে জানায় আইসিজি।