মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে: ফখরুল
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র নেই দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে সেই বাংলাদেশ দেখছি না, যার জন্য যুদ্ধ করেছি। সেই দেশ ঘৃণ্য এক দেশ হয়ে গেছে, স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অসহায় আদিবাসী সাঁওতালদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ! ধিক, এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই। কারণ, একাত্তরে ঘৃণ্য হানাদার বাহিনী ঠিক এভাবেই বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল। নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরেও আগুন দেওয়া হয়েছে। সেটিও এই সরকারের আমলে।’
বিএনপি মহাসচিব গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে অপশক্তিকে পরাজিত করতে নেতা-কর্মীদের ‘দৃঢ় সংকল্প চিত্তে’ শপথগ্রহণ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পড়ার পাশাপাশি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জীবনী পড়ার পরামর্শ দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কুৎসিত কথা বলে, তারা কুৎসিত মানুষ। আমরা কুৎসিত নই। সত্যের পূজা দিয়ে অসুন্দরকে পরাজিত করব।’ তিনি বলেন, ‘৪৫ বছর পার হয়ে গেছে, অথচ এখনো দুর্ভাগ্য ও হতাশার সঙ্গে বলতে হয়, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না। ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে দলনীতি। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। স্বাধীনতার চেতনা কি একদলীয় শাসন?
দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই দিন শেষ নয়। ধৈর্য ধরতে হবে। গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না। একদলীয় নীতি বেশি দিন চলবে না। সব রাজনৈতিক দল-মত-শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন আহমেদ, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির নেতা কাজী আবুল বাশার, শ্রমিক দলের সভাপতি নুরুল ইসলাম খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলবার্ট পি কস্টা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।