বাবার ধারণা ছেলে প্রশাসনের কাছে আছে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে অপহৃত চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদের বাবা এ কে এম নুরুল আলম বলেছেন, তিনি ধারণা করছেন তাঁর ছেলে ‘প্রশাসনের’ কাছে আছে। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কে এম নুরুল আলম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অ্যাভয়েড (এড়িয়ে যাচ্ছে) করছে। সন্দেহ আসেই। কারণ যে জায়গা থেকে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে পুলিশের গাড়ি ছিল। অন্য কেউ নিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে যেত।’
তিনি আরও বলেন, ছেলেকে খোঁজার নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। পুলিশ, র্যাব তাঁকে ও আদালতকে জানিয়েছে, তারা কমিটি করেছে। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকা একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল ও পুলিশের গাড়ি সম্পর্কে কিছু বলেনি। ওই যানবাহনগুলো সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে কোনদিকে গেছে সে সম্পর্কে দুই মাস পরও কোনো তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রকাশ করেনি।
এ কে এম নুরুল আলম বলেন, তাঁর সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল গোয়েন্দা বাহিনীকে উদ্ধৃত করে একটি পত্রিকায় তাঁর ছেলেকে নিয়ে ছাপা দুটি প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলা। ওই প্রতিবেদনে ‘গোয়েন্দা’ বাহিনীর অনামা সূত্র ব্যবহার করে দাবি করা হয়েছে, ইকবাল মাহমুদ জঙ্গিবাদে জড়িত। তাঁর পেন ড্রাইভ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
নুরুল আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ এখন পর্যন্ত তাঁর ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িত, এমন কোনো তথ্য তাঁকে বা আদালতকে জানায়নি। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিবেদনে উত্থাপিত তথ্য বানোয়াট, নাকি আদালতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেওয়া প্রতিবেদনে অস্পষ্টতা আছে? তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, ছেলে স্নাতকোত্তর পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকায় অন্য কোনো দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় তাঁর ছিল না।
দুই মাসেও ছেলের খোঁজ না মিললেও নুরুল আলম আশা ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, পত্রপত্রিকা মারফত তিনি জেনেছেন, চট্টগ্রামে অভিযানে গ্রেপ্তার পাঁচ তরুণকে ছয় মাস থেকে এক বছর আগ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁর ছেলেও হয়তো এভাবে ফেরত আসবে।
চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদের অপহরণের ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো সন্ধান পাননি। তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে র্যাবও বলেছে তারাও চেষ্টা চালাচ্ছে। খোঁজ পায়নি।