ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুরের সেই নবজাতকের লাশ উত্তোলন
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে তাড়িয়ে দেওয়া, পথে তাঁর সন্তান প্রসব ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে মামলার ১৬ দিন পর শিশুটির লাশ কবর থেকে তোলা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় লাশটি উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর রহমান আশিকের উপস্থিতিতে উপজেলার গাড়িদহ গ্রামের খিলারা কবরস্থান থেকে নবজাতকের লাশটি উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা বলেন, গত ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার গাড়িদহ গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী মাজেদা বিবি (৩০) সন্তান প্রসবের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু জরুরি বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডের নার্স সুষমা রানী গর্ভের সন্তানের জটিলতা আছে জানিয়ে মাজেদাকে পাশের ক্লিনিকে ভর্তি করতে বলেন। একপর্যায়ে রাত একটার দিকে মহিলা ওয়ার্ডের প্রসবকক্ষ থেকে মাজেদাকে বের করে দেন ওই নার্স। পরে বের হয়ে যাওয়ার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে খোলা আকাশের নিচেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন মাজেদা। জীবন্ত শিশু ভূমিষ্ঠ হলেও চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় কন্যাশিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় চলতি মাসের ১ তারিখে ইলিয়াছ হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুস্তাফা আল্লামা তালুকদার ও নার্স সুষমা রানীকে।
এসআই শামসুজ্জোহা আরও বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি নবজাতকের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ২ ডিসেম্বর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেন। অনুমোদন পাওয়ার পর আজ শনিবার বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর রহমান আশিকের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।