খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান নীতিমালা ২০১৩’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান নীতিমালা ২০১৩’র খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই নীতিমালা অনুমোদনের ফলে এখন থেকে বিশেষ খেতাবপ্রাপ্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষ ভাতা প্রাপ্ত হবেন। এতে করে খেতাবপ্রাপ্ত সামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্ত ভাতার সঙ্গে বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের সমতা ফিরে আসলো। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারা যে ২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন তা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে বৈঠক শেষে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৬৭৬ জনকে খেতাব দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চার ধরণের খেতাব ছিল- বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম এবং বীর প্রতীক। বীর শ্রেষ্ঠ ৭জন, বীরউত্তম ৬৮, বীরবিক্রম ১৭৫জন, বীর প্রতীক ৪২৬জন।’
তিনি বলেন, এসব মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে অবদান রাখার জন্য যে ভাতা চালু আছে তার হার বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ২০১১ সালের তাদের ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। সশস্ত্রবাহিনীর ভাতা ওই সময় বাড়ানো হয়। এই পেক্ষাপটে একটা অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। কারণ সশস্ত্রবাহিনীর ভেতর থেকে যারা মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন তাদের ভাতা রিভাইজ করা হয়েছে। কিন্তু যারা সশস্ত্র বাহিনীর বাইরে ছিলেন তাদের ভাতা বাড়ানো হয়নি। সে কারণে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সমন্বিত প্রস্তাবনা পাঠায় অসামঞ্জস্যতা দূর করতে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোশারাফ হোসেন ভূইয়া বলেন, সামরিক ও অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় বীরশ্রেষ্ঠ ১২ হাজার, বীরউত্তম ১০ হাজার, বীরবিক্রম ৮ হাজার ও বীর প্রতীককে ৬ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও ২০১১ সালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য এই ভাতা আগেই বাড়ানো হয়। ওই সময় থেকে সেনাবাহিনীর ২৫১ জন, নৌ-বাহিনীর ২১, বিমান বাহিনীর ২৩, বিজিবি ১১৮, পুলিশের ৫ জন এই ভাতা পাচ্ছিলেন। এবার এই ভাতার আওতায় আসছে আসছে ২১৭ জন বেমামরিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাদের পরিবারের সদস্য। এই নীতিমালা কার্যকর হলে বেসামরিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারাও এই ভাতা পাবেন।