দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট সম্ভব নয়: বাট
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মানুষের মন বলে কথা! দুর্বল মুহূর্ত আসেই। সুযোগের অপেক্ষায় থাকা লোকেরা সেই সময়টাকেই কাজে লাগায়। সালমান বাটের ক্ষেত্রে হয়েছিল এমনটিই। কোনো এক দুর্বল মুহূর্তে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। জড়িয়ে পড়েছিলেন স্পট ফিক্সিংয়ে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সম্প্রতি আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারের মনে হয়েছে, ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি পুরোপুরি দূর করা কখনোই সম্ভব নয়।
দিন বদলেছে। আইসিসির এখন দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ ইউনিট আছে। খেলোয়াড় আর বাজিকর দুই পক্ষকেই নজরে রাখে তারা। ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি তাড়াতে আইসিসির এই উদ্যোগে বেশ খুশি বাট। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি নিজের দেখা থেকে বলছি, এর পুরো বিনাশ সম্ভব নয়। কারণ, এতে জড়িয়ে পড়তে শুধু একটি দুর্বল মুহূর্ত লাগে। একটি ভুল সিদ্ধান্ত আপনাকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলবে।’
নিজে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে আইসিসি বাটের সেই শিক্ষা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন ক্রিকেট দলকে এ বিষয়ে বলতে হতো বাটকে। ২০১০ সালে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে বাট, মোহাম্মদ আসিফ আর মোহাম্মদ আমির স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বাটই ছিলেন সেই সফরে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক। ২০১১ সালের গোড়ার দিকে তাঁরা দোষী প্রমাণিত হন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর আমির জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। বাট আর আসিফ আরেকটি সুযোগের অপেক্ষায় আছেন।
সদ্য শেষ হওয়া কায়েদ-ই-আজম ট্রফির পাঁচ দিনের ম্যাচের ফাইনালে জোড়া সেঞ্চুরি করেন বাট। অধিনায়ক হিসেবে ওয়াপদাকে জেতান তাদের ইতিহাসে প্রথম কায়েদ-ই-আজম শিরোপা। আবার ক্রিকেটে ফিরতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন বাট, ‘ক্রিকেটে আরেকবার সাফল্যের স্বাদ নিতে পারার সুযোগ দেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি জানি, ছয় বছর আগে যা হয়েছে এর জন্য আমার মনে সত্যিকারের অনুশোচনাবোধ আছে।’ এখন জাতীয় দলে ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, ‘আমি প্রার্থনা করি যাতে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পারার আরেকটা সুযোগ পাই। আর যা করেছি, তার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বড় কিছু যাতে করতে পারি।’
বাট কতটা শুধরেছেন এ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। তবে কে কী বলল তাতে বাটের অবশ্য কিছু যায়–আসে না। নিজের কাছে পরিষ্কার থাকাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: জি নিউজ।