অর্পিত সম্পত্তি: ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়লো ৬ মাস
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়িয়ে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৩’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে আবেদনের সময় সীমা ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপিতত্বে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “যেসব অর্পিত সম্পত্তি আছে তাদের প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। যারা এখানে আছেন তাদের সম্পত্তি অন্যয়ভাবে অর্পিক সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছে, তাদের আইনের মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হয়েছে আবেদন করে তাদের সম্পত্তি ফেরত পাবেন।”
এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আবেদন করতে গেলে কাগজপত্র লাগে, হাতের কাছে থাকে না সময় লাগে। এ জন্য সরকার আবেদন করার সময়টা বাড়িয়ে দিয়েছে।” এটি কাজ ঢিলেঢালাভাবে চলছে তা নয় বলে উল্লেখ করেন সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “যারা আবেদন করবেন তারা সবাই এখনও আবেদন করতে পারেননি। প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হোক। যাদের দাবি আছে অথচ আবেদন করতে পারেননি তাদের সুবিধার জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে।”
এই সম্পত্তির একটি ‘ক’ এবং একটি ‘খ’ তালিকা আছে। ‘ক’ তালিকা হচ্ছে যেগুলো সরকারের দখলে আছে। আর ‘খ’ তালিকা হচ্ছে যেগুলো সরকারের দখলে নাই। ‘ক’ তালিকা থেকে সম্পত্তি মুক্ত করতে হলে ট্রাইব্যুনালের কাছে যেতে হবে। আর ‘খ’ তালিকা থেকে মুক্ত করতে হলে জেলা কমিটির কাছে যেতে হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এতে ট্রাইবুনালের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১ এপ্রিল ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ (সংশোধন) আইন ২০১৩’র খসড়া মন্ত্রসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। ওই সময় জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলমান না থাকায় এটিকে অদ্যদেশ হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপর গত ২৫ এপ্রিল চলমান সংসদে অধিকতর সংশোধনীর জন্য অধ্যাদেশ জারি করা ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ(সংশোধন) আইন, ২০১৩’ বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। ওই সময় জাতীয় সংসদ অধিকতর সংশোধনের জন্য বিলটি মন্ত্রণালয়কে ফেরত পাঠায়। মন্ত্রণালয় আবেদনের জন্য ৬ মাস সময় বৃদ্ধি ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে।