৫ বিষয়ে ফেল করলেও দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রথম বর্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি কোর্সে ফেল করা ছাত্রদেরও দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই প্রকাশিত ২০১১ সালের প্রথম বর্ষ অনার্স পরীক্ষার ফলাফলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়।
“শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও তাদের অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সর্বোচ্চ পাঁচটি কোর্সে শতকরা ৪০ নম্বরের নিচে অর্থাৎ ‘এফ’ গ্রেড পেয়েছে তাদের বিশেষ বিবেচনায় দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
তবে এসব শিক্ষার্থীকে তাদের ‘এফ’ গ্রেড পাওয়া কোর্সগুলোয় পরে আবার পরীক্ষা দিয়ে অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হবে।
“কর্তৃপক্ষ আশা করে, এরপর শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস ও পড়াশোনায় মনোনিবেশ করবে এবং পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে ভাল ফলাফল করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।”
তবে কিছু শিক্ষার্থী দাবি করেন তাদের রেজাল্ট ভুল এসেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার গাফলতিতে শিক্ষার্থীদের এই দুরবস্থা।
২০১১ সালের প্রথম বর্ষ অনার্স পরীক্ষার ফলাফলে ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করে। গ্রেডিং পদ্ধতি অনুযায়ী, কেনো শিক্ষার্থী প্রথমবর্ষের ফলাফলে এক দশমিক ৭৫ পয়েন্ট জিপিএ পেলে দ্বিতীয়বর্ষে ওঠার সুযোগ পাবে।
২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে প্রথম বর্ষ অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা আটদফা দাবিতে আন্দালন শুরু করে। শনিবার ঢাকার বিভিন্ন কলেজের সামনে মানববন্ধন করার পাশাপাশি তারা জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।রোববার সকাল ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা তারা গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এ সময় সড়কের দুইপাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
পরে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী মূলফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ক্যাম্পাসে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহন করা ১১টা বাস ও বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে। তারা মহাসড়কেও বেশকিছু গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে।
পরে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।