রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলফ মারা গেছেন
আন্তজাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: তুরস্কে আততায়ীর গুলিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলফ নিহত হয়েছেন। মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ খবর নিশ্চিত করেছে। রাজধানী আঙ্কারায় এক আর্ট গ্যালরিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
তুর্কী সংবাদমাধ্যম খবর দিচ্ছে, তিনি সেখানে ভাষণ দেয়ার সময় আততায়ী সিরিয়ার আলেপ্পো শহর সম্পর্কে চিৎকার করে কিছু বলে এবং মি. কারলফের ওপর গুলি ছোঁড়ে।
গুলি চালানোর পর আততায়ীকে বলতে শোনা যায়, “আলেপ্পোকে ভুলো না, সিরিয়াকে ভুলো না।” এরপর তাকে “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিতে শোনা যায়। ঘটনায় বেশ কয়েক জন মানুষ আহতও হয়েছেন।
অকুস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে,আর্ট গ্যালারির মেঝেতে স্যুট পরা দুই ব্যক্তি পড়ে রয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাখারোফা বলেছেন,এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ সহ্য করা হবে না।
ওদিকে রুশ সংসদের একজন সদস্য লেওনিদ স্লাটস্কিকে উদ্ধৃত করে ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা খবর দিচ্ছে, মি. কারলফের হত্যার পরও মঙ্গলবার মস্কোতে সিরিয়ার সঙ্কট নিয়ে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে আলোচনা চলবে।
সিরিয়ার সঙ্কট নিয়ে তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে বিবাদ চলছে।
সিরীয় সরকারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের প্রতিবাদে ইস্তানবুলে রুশ দূতাবাসের বাইরে সম্প্রতি বিক্ষোভ হয়েছে।
তবে আলেপ্পোয় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তুরস্ক ও রাশিয়া সরকার সহযোগিতার ভিত্তিতেই কাজ করছিল।
ওদিকে এই ঘটনার ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, “উৎস যাই হোক না কেন, আমরা এই ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা তার জন্য প্রার্থনা করছি।”
হত্যাকারী
ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারী একজন তুর্কী পুলিশ যিনি সেসময় ডিউটিতে ছিলেন না।
রুশ রাষ্ট্রদূত মিঃ কারলফ যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন আততায়ী খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে বলে জানা যাচ্ছে।
তুরস্কের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে দেশটির পুলিশ পরে হামলাকারীকে হত্যা করেছে।
মিঃ কারলফকে হামলার পর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাখারোফা এটাকে “সন্ত্রাসী” হামলা আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন তুরস্ক সরকার ঘটনার পূর্ণ তদন্তের এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যাপারে তাদের আশ্বাস দিয়েছে।
হাসপাতালের বাইরে আঙ্কারার মেয়র মেলি গকচেক বলেছেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে।