মাহমুদার বাবার সঙ্গে কথা বলছেন তদন্ত কর্মকর্তা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নিহত মাহমুদা খানমের বাবা মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ‘মামলা সম্পর্কে তথ্য জানতে’ তাঁকে ডাকা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন মোশাররফ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে বলেন, মামলা সম্পর্কে তথ্য জানতে নিহতের বাবাকে ডাকা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকার আগে মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। মোশাররফ জানান, তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা শেষে বিষয়টি জানাবেন।
মোশাররফ হোসেন পুলিশবাহিনী থেকে পরিদর্শক হিসেবে অবসরে যান। ঢাকার বনশ্রী এলাকায় এখন পরিবার নিয়ে থাকেন। মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাবুল আক্তার সেখানেই থাকছেন।
গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় মাহমুদা খানমকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার গত ২৭ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, কামরুল শিকদার ওরফে মুছার নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মুছা ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন।
এর আগে ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে আবার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ জানায়, বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। অবশ্য পরে বাবুল আক্তার বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে আবেদন করেন তিনি। ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’
১৫ ডিসেম্বর বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে ডেকে নিয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার বেশির ভাগ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি। কখনো বলেছেন জানেন না, আবার কখনো অঝোরে কেঁদেছেন।