ঔষধনীতি বাস্তবায়নে সরকার বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ঔষধনীতি বাস্তবায়নে সরকার বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। যে ওষুধ মানুষের জীবন বাঁচায়, সেই ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার রাজধানীতে মডেল ফার্মেসি প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। ধানমন্ডির লাজ ফার্মা এবং গ্রীন রোডের বায়োমেড ফার্মেসিকে নতুন আঙ্গিকে চালুকরণের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মডেল ফার্মেসির কাজ শুরু হলো আজ থেকে।
শীগ্রই প্রতি জেলায় কমপক্ষে একটি করে মডেল ফার্মেসি চালু করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মান যথাযথ রাখার পাশাপাশি সঠিক ওষুধের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে মডেল ফার্মেসি ভূমিকা রাখবে। এর ফলে ভেজাল ওষুধের সাথে জড়িতরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্য দিকে প্রকৃত ব্যাবসায়ীরা লাভবান হবে। তাই এধরনের দোকান স্থাপনে ব্যরসায়ীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঔষধ নীতি অনুযায়ী প্রত্যেক মডেল ফার্মেসিতে ৩৯টি প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়া সব ধরনের ওষুধ বিনা প্রেসক্রিপশনে বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে অযথা এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার হবে। রোগীদের জন্য নিরাপদ ওষুধ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে বাংলাদেশ মডেল ফার্মেসি ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের লোগো এবং ওষুধের দোকান পরিচালনা নীতিমালা পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মডেল ফার্মেসি ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ঔষধনীতি প্রণয়ন ও মডেল ফার্মেসি চালুর মধ্য দিয়ে নকল ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান আরো জোরালো হল। ওষুধের দোকানগুলোকে ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ হিসাবে দুই ভাগে চিহ্নিত করে সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
মডেল ফার্মেসিকে কমপক্ষে ৩০০ বর্গফুটবিশিষ্ট ও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সার্বক্ষনিক রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগসহ সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা মেনে মডেল ফার্মেসি কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ শফিউজ্জামান, ইউনিমেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন, লাজ ফার্মার স্বত্বাধিকারী লুৎফর রহমানসহ বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট সমিতির প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।