সেপটিক ট্যাংকে শিশুর লাশ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় রনি আহমেদ (৭) নামের এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ শৌচাগারের ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রনি উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের ছাতুয়া সরকারপাড়া গ্রামের রায়হান আলী সরকারের ছেলে। সে ভুগোইল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া চার ব্যক্তি হলেন সরকারপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, আবদুল করিম, জামিল হোসেন ও আবু তালেব। লাশ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্ত তিনজনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে রনিকে অপহরণ করা হয়। এরপর অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার বিকেলে এলাকার লোকজন গ্রামের একটি শৌচাগারে রনির লাশের সন্ধান পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণের জন্য অভিযুক্তরা রনিকে অপহরণ করেছিল। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাকে হত্যা করে। একপর্যায়ে লাশ গুম করতে ওই শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাহিদুল ইসলাম শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’