বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকার অবকাঠামো গড়ে তুলতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার শিল্পবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি সৃজনশীল উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।
শিল্পখাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশী ও বিদেশী উদ্যোক্তাদের একই রকম সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ফলে বাংলাদেশের শিল্পখাতে শতকরা ১০ দশমিক ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিন করতে সক্ষম হয়েছে।
আমির হোসেন আমু শুক্রবার ভারতের কলকাতা শহরের মিলন মেলা প্রাঙ্গণে ‘২৯তম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ারের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
কলকাতার দ্যা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএনসিসিআই) এ মেলার আয়োজন করে। দশ দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা আগামী ১ জানুয়ারি’১৭ শেষ হবে।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি সুরজিৎ পাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি বিষয়কমন্ত্রী সোবহানদেব চট্টোপাধ্যায়, তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু পৌর বিষয়ক ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশ সরকার বার্ষিক শতকরা ৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। সরকার গৃহীত বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত শতকরা ১৪ ভাগ রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইসিটি ও সফ্টওয়্যার, টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও রিসাইক্লিং, প¬াস্টিক, সিরামিক, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেক্ট্রনিক, পাট ও পাটজাত পণ্যের মত উদীয়মান শিল্পখাতগুলোতে ভারতসহ অন্যান্য দেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ভারতের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সবচেয়ে বড় এ শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, চীন, থাইল্যান্ড, মিশর, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, ঘানা, সিঙ্গাপুর, হংকং ও দুবাইয়ের ৭ শতাধিক উদ্যোক্তা এ মেলায় অংশ নিচ্ছে।