চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে বিএমএ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক নাঈমুল হকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান বলেছেন, বিএমএ ডা. নাঈমুলের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে।
নাঈমুল হকের চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী বিএমএর মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘ডা. নাঈমুল হকের এই মৃত্যু একজন চিকিৎসক হিসেবে, একজন সহকর্মী হিসেবে আমার নিজের পক্ষেও মেনে নেওয়া কঠিন। তবে নাঈমুল হককে আমি আমার সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দায়িত্ববোধ দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছি।’ আজ শনিবার বিকেলে এই চিঠি বিএমএ কার্যালয়ে পৌঁছায়।
নাঈমুল হক ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাব এইড বিশেষায়িত হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করানোর জন্য ভর্তি হন। অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী তাঁর এনজিওগ্রাম করেন এবং রক্তনালিতে স্টান্টিং (রিং পরানো) প্রস্তুতি নেন। কিন্তু স্টান্টিং করার আগেই নাঈমুল মারা যান।
২১ ডিসেম্বর বিএমএর মৌলভীবাজার শাখা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিযোগপত্রে দাবি করে, এনজিওগ্রাম করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রটোকল ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক এনজিওগ্রাম করেন এবং স্টান্টিংয়ের প্রস্তুতি নেয়। তারা এ ঘটনার তদন্ত দাবি ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। এই চিঠির অনুলিপি তারা বিএমএর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদকে দেয়।
বিএমএ মহাসচিব ইকবাল আর্সলান ঘটনা জানতে আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে চিঠি দেন। সেই চিঠির জবাব আজ বিকেলে বিএমএ কার্যালয়ে পৌঁছে। তাতে নাঈমুল হকের চিকিৎসার জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেছেন, সর্বোচ্চ পেশাদারির মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছিলেন।
এদিকে আজ বিকেলে ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘এখন একটি কমিটি করবে বিএমএ। সেই কমিটি ডা. নাঈমুলের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে।’
এদিকে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারাও ঘটনা খতিয়ে দেখেছে, প্রস্তুতি ও চিকিৎসকের কোনো ঘাটতি পায়নি।