ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটির বিকল্প নেই : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটির কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান তার জন্য তিনি নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।’
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহী কলেজ মাঠে ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
শাহ্রিয়ার আলম বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী আইসিটি, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অনেকটাই সফলতা লাভ করেছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক উর্পাজনের পথ খুঁজে পেয়েছে।
দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সরকার আইসিটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইসিটি বিষয়ে আগ্রহী হয়ে সবাইকে জানতে হবে এবং যারা জানে তাদেরকে অন্যদের জানার জন্য আগ্রহী করে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিসে চাকরী পেলেই বেকার সমস্যা দূর হয় না বরং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসেই উর্পাজন করার সুযোগ এসেছে।
তিনি বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকারের সঠিক পরিকল্পনার ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে অনেক অফিস আদালতে কাজ করা সহজ হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় আজ ‘আর্নিং এবং লার্নিং’ এর প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে এতে ১৪ হাজার যুবক প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে এবং অনেক বেকার সমস্যা দূর হবে। ২৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে ‘রাজশাহী বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগ একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এবং ই-জেনারেশন অনেক কিছু শিখতে পারবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সকলকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান ।
জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হাবিবুর রহমান, ই-জেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান, বিএসিসিও‘র সাধারণ সম্পাদক তৌহিত হোসেন এবং লার্নিং এন্ড আর্নিং এর প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার নাগ বক্তৃতা করেন।