ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটি গঠন এবং কমিশনে দুজন নারী অন্তর্ভুক্তিসহ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে আট দফা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী এ সংলাপ চলে। সংলাপ শেষে বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আশা করছেন এ আলোচনার মধ্যে দিয়ে কিছু একটা বেরিয়ে আসবে। সুতরাং আমরাও আশাবাদী তাঁর এই উদ্যোগ সফল হোক, সার্থক হোক।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেছেন—একটি ক্ষেত্রে সবার ঐকমত্য এসেছে যে নির্বাচন কমিশনে একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবগুলোতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি জরুরি ভিত্তিতে সংসদ অধিবেশন ডেকে অথবা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে এক মাস লাগতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দলটির প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিলর গঠনের কথাও বলা হয়েছে। এই সাংবিধানিক কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম প্রস্তাব করবে। প্রধান বিচারপতি, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে দলটি। ওয়ার্কার্স পার্টি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনে অন্তত দুজন নারী সদস্যের অন্তর্ভুক্তি চেয়েছে।
রাশেদ খান মেনন ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, সাংসদ হাজেরা সুলতানা, ইকবাল কবির জাহিদ, কামরূল আহসান এবং সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।