নাসিরনগরে হামলায় সাবেক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এবার শেখ আবদুল আহাদ (৪৫) নামে আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেল উপজেলা সদরের ঘোষপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ শেখ আবদুল আহাদকে গ্রেপ্তার করে।
শেখ আবদুল আহাদ নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি ঘোষপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর বলেন, গত ৩০ অক্টোবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় শেখ আবদুল আহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাফিউদ্দিন জানান, শেখ আবদুল আহাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদেই নেই।
৩০ অক্টোবরের ঘটনার পর শেখ আবদুল আহাদ একাধিকবার বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনি জড়িত নন। তিনি দাবি করে আসছেন, ঘটনার দিন তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে প্রায় ১৫টি মন্দির ও শতাধিক হিন্দুবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ৪ নভেম্বর উপজেলা সদরে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে পাঁচটি রান্নাঘর ও একটি মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এরপর ৬ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অঞ্জন কুমার দেবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ১৩ নভেম্বর ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেঙ্গাপাড়া গ্রামের চোট্টু লাল দাসের (৪৬) বাড়ির রান্নাঘরের পাশের একচালা একটি টিনের ঘরে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। এসব ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তি জামিন পাননি।