জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ: সিইসি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আজ বুধবার জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ৬১টি জেলায় সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত এ ভোটে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেন। ৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সিইসি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আপনারা জানেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন অন্যান্য নির্বাচন থেকে ভিন্ন। বিভিন্ন স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছেন। সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। আমি নিজে রাজধানীতে দুটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আপনারাও ভোটকেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রত্যক্ষ করেছেন।’
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রচলিত নির্বাচনব্যবস্থা থেকে ভিন্ন এবং ভোটারসংখ্যা কম হলেও নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে যাতে কোনো শঙ্কা না থাকে, প্রতিটি ভোটার যাতে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, ভোটকেন্দ্রে এসে স্বচ্ছন্দে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য ব্যাপক নিরাপত্তাপ্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতে নির্বাচনে প্রচার বা প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সংসদ সদস্যরা যাতে এলাকায় থেকে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে তাঁদের এলাকা ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সংসদ সদস্যদের এলাকা ত্যাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অনুরোধ জানানো হয়।
সিইসি বলেন, এ নির্বাচনে যেহেতু ভোটার কম, সে জন্য ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোনো ভোটার যাতে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল না মারেন এবং ব্যালটের ছবি তুলতে না পারেন, সে জন্য বিশেষ নির্দেশ প্রদান করা হয়। মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য প্রার্থী, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব সদস্য, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান তিনি।