কৃষি জমি নষ্ট করে বাড়ি তৈরি ক্রাইম

প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি,

ঢাকা : জনসংখ্যা বাড়ায় পরিকল্পিত আবাসনের ওপর জোর দিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কৃষি ভুমিতে বাড়ি তৈরিকে ‘ক্রাইম’ মন্তব্য করে এসব জমি রক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) সচিবালয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ‘খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি জমি রক্ষাকল্পে পরিকল্পিত গ্রাম-নগর ও গৃহায়ণ’ বিষয়ক জাতীয়ভিত্তিক সুপারিশ প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ সুপারিশ করেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন,‘ কোনো বাড়িতে এখন যে আছে সে হয়তো আমেরিকা চলে গেছে বা কেউ দুবাই গিয়ে ইনকাম করে এনে দেশে অন্য জায়গায় বাড়ি করে।’
তারা ধানী জমি নষ্ট করে বাড়ি করছে। দিজ ইজ এ ক্রাইম, আমি বলব। এটা খাদ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, সংসদে আইন করে ধানী জমি, কৃষি জমি রক্ষায় আইন পাস করতে হবে।
কৃষি জমিতে বাড়ি করতে হলে অবশ্যই ইউএনও বা সংশ্লিষ্ট অন্য কারও কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম করার তাগিদ দেন মোশাররফ। তিনি বলেন, এভাবে যদি ধানী জমি নষ্ট হয় তাহলে আমরা খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি তা আর হবে না। সরকারের উচিত হবে ভবিষ্যতে যেন ধানী জমিগুলোকে নষ্ট না করে। ধানি জমিতে কোনো ইটভাটা যেন না হয়।
মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তার বিবরণ তুলে ধরেন চট্টগ্রামে সাগর পাড়ের উপজেলা মিরসরাইয়ের বাসিন্দা মোশাররফ।
তিনি বলেন, ‘সত্তর সালে নির্বাচনের সময় শুধু ধান ক্ষেত দেখেছি, বিল দেখেছি, ঘরবাড়ি কম দেখছি, মানুষ এত ছিল না। মানুষ অনেক বেড়েছে, কৃষি জমি কমে গেছে। কৃষি জমি একেবারে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে।’
শুধু ইট দিয়ে বাড়ি নির্মাণ না করে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নির্মাণের সামগ্রী শুধু ইট দিয়ে হয় এটা ঠিক না। নদীতে অনেক বালু আছে। ড্রেজিং করে ক্লে (কাদা) নিয়ে ইট তৈরি করতে পারব।
‘সহজে আমরা উপরিভাগের মাটি নিয়ে ইট তৈরি করছি, এটা একটা ক্রাইম। ইউএনওদের এটা দেখা উচিত এবং টোটালি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে গ্রামের দিকেও মনোযোগী হতে পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, রাজউকের সদস্য মো. আবদুর রহমান, আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।