উল্টো কিউই-ওয়াশের মুখে বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: এ মাঠে নাকি দলগুলো অলআউট হয় না। আগের ১৩ ইনিংসে ব্যাট করে এখানে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল মাত্র একবার। আজকের ম্যাচেই দুই দল দলই অলআউট হলো।
নিউজিল্যান্ডকে ২৫১ রানে বেঁধে ফেলেও নেলসনে জিততে পারল না বাংলাদেশ। ১৮৪ রানে রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারল ৬৭ রানে। এর সঙ্গে সিরিজ হারও নিশ্চিত হয়ে গেল। এখন শেষ ম্যাচ জিততে না পারলে ধবল ধোলাই হবে হবে বাংলাদেশকে। নিকট অতীতে যে তিক্ত স্বাদ এক রকম ভুলেই গিয়েছিল বাংলাদেশ!
উল্টো বড় দলগুলোকে নাকানি-চুবানি খাওয়াতে শুরু করেছিল। এক নিউজিল্যান্ডকেই তো ঘরের মাঠে দুই সিরিজেই করেছিল বাংলাওয়াশ। ঘরের মাঠে টানা ছয় সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিদেশ জয়ের অভিযানে নেমেছিল মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু প্রথম পরীক্ষাতেই বুঝল, কাজটা কঠিন। এবার উল্টো কিউই-ওয়াশের মুখে বাংলাদেশ।
অথচ আজকের ম্যাচটায় কী দাপট ছিল বাংলাদেশের। দুর্দান্ত বোলিং, এর পর ব্যাটিংয়েও দারুণ শুরু। মাঠ বিবেচনায় ২৫২ রানের সাধারণ লক্ষ্যের পিছে ছুটতে ১ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১০৫ রান। সেখান থেকে আর ৭৯ রান যোগ হতেই পড়ে গেল শেষ ৯ উইকেট! সাব্বির রহমানের রান আউটটাই টেনে দিয়েছিল ট্রিগার। এরপর যে পতনের শুরু, তা থামেইনি। পরের চার ব্যাটসম্যান মিলে ১৩ রান করেছেন।
মাহমুদউল্লাহ তাঁর বিশ্বকাপের সেই ঝলক ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ। গত ম্যাচে শূন্য রানের পর আজ দুর্দান্ত ইয়র্কার সামলাতে ব্যর্থ হয়ে ১ রানে আউট। সাকিবও গত ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত করার পর হতাশ করেছেন ৭ রানে আউট হয়ে, ওয়াইড বলটা মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে। গত ম্যাচে প্রায় একাই লড়াই করা মোসাদ্দেক আজ করলেন ৩। আর নুরুল হাসানেরও ওপরে ব্যাট করতে নেমে অভিষিক্ত তানবির হলেন কেন উইলিয়ামসনের তৃতীয় শিকার। যে চারটি পরপর উইকেট পতন ঘটেছে, তিনটিই তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
এরপর নুরুলের ২৪ আর মাশরাফির ‘যা আছে কপালে’ ভঙ্গিতে করা ১৭—আট আর নয়ে নেমে তারা করবেনই বা কী! ম্যাচ তো আগেই শেষ। দলের মেরুদণ্ডই যে ছিল না!
এর আগে বাংলাদেশের ঠাসা বোলিংয়ে পরও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন নিল ব্রুম। তাঁর ১০৯ রানের ইনিংসটাই ছিল নিউজিল্যান্ডের মেরুদণ্ড। তার জবাব দিতে পারল না বাংলাদেশ। বহু দিন পর যেন ফিরে গেল সেই পুরোনো স্মৃতিগুলো। গত ২০ ইনিংসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো দল অলআউট হলো দুই শর নিচে।