মেদ-ভুঁড়ি ঠেকাতে যা করবেন
লাইফ স্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নিয়মিত ব্যায়াম করছেন, তেল-চর্বিযুক্ত খাবারের আশপাশেও ঘেঁষেন না। খুব ভালো কথা। কিন্তু তারপরও টি-শার্ট পরলে বা ছবি তোলার সময় নিশ্বাস বন্ধ করে থাকেন আপনি। কারণ একটাই, মেদ-ভুঁড়িটা প্রকট না হয়। কিন্তু মেদ-ভুঁড়ি যেন এক নির্মম সত্য, যা ঢেকে রাখা কঠিন! এত ঢেকেঢুকে রেখেই-বা কত দিন? কেবল দেখতে বেখাপ্পা লাগার কারণেই নয়, মেদ-ভুঁড়ি ক্ষতিকর নানান কারণে। তাই কী করলে মেদ-ভুঁড়ি হবে না, সেটা নিয়েই ভাবুন। থাকল তেমনই কিছু পরামর্শ।
কোমলপানীয়কে ‘না’ বলুন
পরামর্শটা শুনে কোমল পানীয়র তৃষ্ণা বোধ হয় আরও বেড়ে যায়! না হলে এটা থেকে দূরে থাকা এত কঠিন কেন! তবে এটা ঠিক, মেদ-ভুঁড়ি এড়াতে চাইলে কোমলপানীয়ও এড়াতে হবে। এমনকি অল্প ক্যালরির কোমল পানীয়ও আপনার বিপাকপ্রক্রিয়া ধীরগতির করে দেয়। শরীরে মেদ জমাতে সাহায্য করে।
চুইংগাম চিবানো বন্ধ করুন
চুইংগাম চিবুলে মোটা হব কেন? কিংবা প্রশ্ন করতে পারেন, চুইংগামের চিনি ক্ষতিকর হতে পারে, তাই বলে মেদ-ভুঁড়ি হবে? অবশ্যই হবে, তবে তা একটু অন্যভাবে। কিছুক্ষণ চুইংগাম চিবুলে মস্তিষ্ক সংকেত পাঠায় পাকস্থলীকে। সংকেতটা হলো খিদের। তা ছাড়া চুইংগাম পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি করে, এতে আমাদের ভীষণ খিদে পায়।
লবণ কম খান
এই পরামর্শটাও গতানুগতিক। কিন্তু এটা যেন আমরা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিই। তাই পরামর্শটা বারবার মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি। খাদ্যতালিকাটা যেন আপনার ‘আলুনি’ হয়ে ওঠে। এ ছাড়া চিনির বেলায়ও একই নীতি অনুসরণ করুন। এই দুটি উপাদান উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। আমাদের শরীরে কিছু ফ্লুইড আছে, যা মেদ-ভুঁড়ি জমতে সাহায্য করে। আর এই ফ্লুইড বজায় রাখে লবণ। তাই লবণ কম খান, ভুঁড়ি হবে না।
ফাস্টফুডকে রাখুন তালিকার ‘লাস্টে’
ফাস্টফুড ক্যালরিসমৃদ্ধ, ফলে শরীরের নানান ক্ষতি ডেকে আনে এই খাবারগুলো। মেদ-ভুঁড়ি বাড়াতেও তাই এদের ভূমিকা মারাত্মক। ফাস্টফুডের বদলে দেশি ফলমূল বেছে নিন। একেবারে না পারলে ধীরে ধীরে এই অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন।
মেয়নেজেও বিপদ
ফাস্টফুডের সঙ্গে মেয়নেজও চলে আসে আমাদের খাদ্যতালিকায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু এর ৮০ শতাংশই চর্বি! ফলে মেদ-ভুঁড়ি বাড়াতে এর ভূমিকার কথা ভাবুন একবার! মেয়নেজের বদলে বেছে নিতে পারেন টমেটো কিংবা বিভিন্ন সবজির সস।
ফ্রেঞ্চফ্রাইও নিরাপদ নয়
ফ্রেঞ্চফ্রাই বললে মনে হয়, আরে, এ তো কেবল আলু। কিন্তু মনে রাখবেন, এই খাবারটা ভাজাপোড়ার তালিকাতেই পড়বে। অন্য ভাজাপোড়া খাবারের মতো এটাও কাজ করে স্পঞ্জের মতো। মানবদেহের স্যাচুরেটেড ফ্যাট আত্মীভূত করে নেয় এই খাবার। এর ফলে মস্তিষ্ক ঠিক উপলব্ধি করে না যে কতটুকু ওজন বাড়াচ্ছেন আপনি।
আইসক্রিমও যখন শত্রু
কে না জানেন, আইসক্রিমে থাকে ভরপুর চিনি। আর এই চিনি পরিণত হয় অ্যাবডোমিনাল ফ্যাটে। তাই বেশি আইসক্রিম মেদ-ভুঁড়ির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
সূত্র: ব্রাইটসাইড