সম্ভাবনায় মোড়া পাঁচ খাত

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। সরকারের ১০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার কথা বলা আছে। তবে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে অর্থনীতির দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে। শুধু প্রচলিত খাতেই নয়, অপ্রচলিত খাতকেও রপ্তানিনির্ভর খাতে পরিণত করতে হবে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এখন বহুমুখী রপ্তানি খাত গড়ে তোলার গুরুত্ব অপরিসীম। খুঁজে বের করতে হবে সম্ভাবনার খাতগুলোকে; যার ওপর ভিত্তি করে উন্নত দেশের দিকেই এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। নতুন বছরে অর্থনীতির বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।

গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ বলেন, বাংলাদেশের খাতগুলো মূলত শ্রমনির্ভর। তাই শ্রমনির্ভর খাতগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে প্রচুর, তবে এ খাতে প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি হয়নি। বর্তমানে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় খুব বেশি না হলেও সরকার এ খাতকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। আর তাই দক্ষ জনবল গড়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

চামড়াপণ্য নতুন করে আবারও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উঠে এসেছে বলে মনে করেন সাঈদ মুরশিদ। তবে এ খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরির অভাব। তাই ল্যাবরেটরি গড়ে তুলতে হবে। এ জন্যও প্রয়োজন দক্ষ টেকনিশিয়ান।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে চীন বা ভিয়েতনাম যেসব খাত থেকে সরে আসছে, সেসব খাত এখানে দানা বাঁধতে পারে। বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় বাংলাদেশের সস্তা শ্রম। আবার নেতিবাচক দিক হচ্ছে ভূমি অপ্রতুল। আর তাই শ্রমনির্ভর খাতগুলোতে সম্ভাবনা রয়েছে। এটার ওপর নির্ভর করে খাত চিহ্নিত করতে হবে।

বাংলাদেশের জন্য আগামী দিনে শুধু সম্ভাবনাময় নয়, কৌশলগত খাতগুলোও চিহ্নিত করতে হবে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, হাই ভ্যালু রয়েছে, এ রকম ফিনিশড গার্মেন্টস পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে। এ ছাড়া সম্ভাবনা আছে প্লাস্টিক, চামড়াশিল্প, জ্ঞানভিত্তিক আইসিটি খাতে। তবে ফিনিশড এবং কাঁচামালনির্ভর পণ্য ছোট ও হালকা মেশিনারি পণ্য রপ্তানির দিকেও জোর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে বহুমুখীকরণ আনতে হবে। যেমন শুধু কটন নয়, নন কটন ফ্যাশনেবল কাপড়ের ওপর জোর দিতে হবে।

অর্থনীতিবিদদের পর্যালোচনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বলা যেতে পারে, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাক খাতের ডেনিম, ওষুধ ও ওষুধের উপাদান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্লাস্টিক পণ্যকে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য
নতুন বছর থেকে চামড়া শিল্পনগরী সাভারে চলে যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৬ সালের মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সব ট্যানারি সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর শেষ হবে।

এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরিত করে সাভারে নিয়ে যেতে নগদ প্রণোদনা দেবে সরকার। এখন সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে।

এ অবস্থায় নতুন করে এই খাতে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৫৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। বিদায়ী বছরে এ খাত থেকে মোট ১৩৮ কোটি ডলার আয় হয়; যা আগের বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চামড়ার তৈরি পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ২৩ কোটি ২৮ লাখ ডলার; যা গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের জন্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বড় বাজার মূলত ইউরোপের জার্মানি, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স এবং ইউরোপের বাইরে চীন, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ট্যানারি ছাড়াও বাংলাদেশে শতাধিক জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের শিল্প-কারখানা আছে৷ চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য আছে দুই শর বেশি শিল্প-কারখানা। অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৫০ ভাগই মেটানো হয় দেশের তৈরি জুতা দিয়ে৷

পোশাক খাতের ডেনিম
তৈরি পোশাক খাতের ওপর বর্তমানে দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। বাংলাদেশে প্রতিবছর রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে আমাদের রপ্তানি আয় এসেছে ৮১ ভাগ। তাই নতুন করে এ খাতে সম্ভাবনাময় বলার কিছু নেই। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বলা যেতে পারে তৈরি পোশাক খাতের ডেনিম কাপড়। কয়েক বছর ধরে বিশ্ববাজারে ভালো চাহিদা থাকায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে একটি শক্ত জায়গা করে নিয়েছে ডেনিম। ডেনিম নামের বিশেষ কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকের নাম জিনস।

পরিসংখ্যানই বলছে, ডেনিম কাপড়ের সম্ভাবনাময় দিকটির কথা। সারা বিশ্বে জিনস বা ডেনিম পোশাক তৈরিতে শীর্ষ তিন দেশের একটি বাংলাদেশ। ইউরোপের বাজারে ডেনিম পোশাক বা জিনস রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথমে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে তুরস্ককে পেছনে ফেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ বাড়ে ডেনিম পোশাক রপ্তানি। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন-ছয় মাসে ৫৬ কোটি ইউরোর ডেনিম রপ্তানি হয়েছে।

২০১৫ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ কোটি ডলারের ডেনিম পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এ খাতে। দেশের ৩০০ থেকে ৪০০ পোশাক কারখানায় ডেনিম পোশাক তৈরি হচ্ছে। ডেনিম কাপড় তৈরির মিল আছে ২৫টির বেশি। বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ড টমি, জি-স্টার, জ্যাক অ্যান্ড জোনস, কেলভিন ক্লেইন, স্পিরিট বাংলাদেশের কারখানা থেকে জিনস তৈরি করছে। অর্ডার অনুযায়ী ডেনিম কাপড়ের শার্ট, জ্যাকেট এবং বাচ্চাদের পোশাকও তৈরি হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে (আইসিটি) বিবেচনা করছে সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে এই খাত থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৪০ হাজার কোটি টাকা) পণ্য ও সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জিডিপিতে আইসিটির অবদান ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া এবং ২০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্য নিয়েও কাজ করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনবল ও নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৪০ কোটি ডলারের আইসিটি পণ্য ও সেবা রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি বাড়াতে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ বিপিও খাতে এক বিলিয়ন ডলার বা আট হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্র জানায়, লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, সারা দেশে হাইটেক পার্ক তৈরি, সফটওয়্যার রপ্তানি বাড়ানো, বিপিও খাতের উন্নয়ন, এক হাজার উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি, গেম খাতের উন্নয়নসহ বহুমুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এবং রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ওষুধশিল্প
ওষুধশিল্প বাংলাদেশে একটি উদীয়মান শিল্প খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এখন আর ওষুধ আমদানিকারক দেশ নয়, রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের উৎপাদিত ওষুধ ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৩৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। মেধাস্বত্ব আইন থেকে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প আরও ১৭ বছরের জন্য অব্যাহতি পেয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের জন্য মেধাস্বত্ব আইন প্রযোজ্য হবে না। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য এ সুবিধাটি দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। এই খাতের রয়েছে অপার সম্ভাবনা।

বর্তমানে দেশের ওষুধশিল্প খাতে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। এ উৎপাদন থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ মেটানো সম্ভব হচ্ছে। অথচ একসময় বিদেশি কোম্পানিগুলো এ দেশের ওষুধের বাজারের ৭৫ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করত। এই খাতের রয়েছে অপার সম্ভাবনা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত চার দশকে বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে বিশ্বের অনুন্নত ৪৮ দেশের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষে বাংলাদেশ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বছরে ২৫৭ কোম্পানির ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ২৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিদেশে যাচ্ছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আট কোটি ডলার ধরা হয়েছে। তবে রপ্তানি আরও বেশি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ছয় বছরের ব্যবধানে এ খাতে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। দেশের কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে।

প্লাস্টিক খাত
রপ্তানি আয় বাড়াতে প্লাস্টিক খাতে নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিদায়ী অর্থবছরের এপ্রিলেই নেয় সরকার। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরেও এ সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য থেকে মোট রপ্তানি আয় আসে ৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার ডলার, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ কম। এ ছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্লাস্টিক পণ্য থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। পাঁচ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৭ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি হয়েছে রপ্তানি। তা ছাড়া বিদায়ী বছরের একই সময়ের চেয়ে এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।

অর্থাৎ দেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বলা যেতে পারে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি খাতকে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ