চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রডাক্ট অব দি ইয়ার : প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানি পণ্যের বাজার বহুমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে ২০১৭ সালের জন্য ‘প্রডাক্ট অব দি ইয়ার’ (জাতীয়ভাবে বার্ষিক পণ্য) ঘোষণা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের অন্তর্নিহিত সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্দেশে আমি আগামী ২০১৭ সালের জন্য চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যকে জাতীয়ভাবে বার্ষিক পণ্য বা প্রডাক্ট অব দি ইয়ার হিসেবে ঘোষণা করছি।’
বার্ষিক পণ্য ঘোষণার প্রেক্ষিতে এ পণ্যকে সব ধরণের সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার শুধু পোশাক শিল্পের মধ্যে রপ্তানি আয়কে সীমাবদ্ধ না রেখে রপ্তানি পণ্যের বাজার বহুমুখী করার উপর গুরুত্বারোপ করে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তা আরও কার্যকর করার পন্থা অবলম্বন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মাসব্যাপী ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৩-১৪ সালের দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানী আয়কারি ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মাঝে জাতীয় রপ্তানী ট্রফি ও সনদ বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত সাড়ে চার দশকে চামড়া খাতে রপ্তানি প্রায় ৭১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম সারির বৈশ্বিক পন্যগুলোর চামড়াজাত পণ্য এখন বাংলাদেশেই প্রস্তুত হয়। এ পণ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য-সংযোজন সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বের সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাব সেই চিন্তা-চেতনা নিয়েই কিন্তু আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি। অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করার জন্য বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বেসরকারি খাতের যেন পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে সেজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেও আমরা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের আগে কেবল সরকারি খাতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। যার পরিমান মাত্র ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমি আইন পাশ করলাম। বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিলাম। প্রতিটি ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের আমরা আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি খাতের পাশাপাশি যখন কেরকারি খাত সুযোগ পেল স্বভাবিকভাবে আজকে আমাদের অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে বিকষিত হয়েছে বেসরকারি খাত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আমি বলব, বেসরকারি খাতেরও যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেরা ব্যবসা বাণিজ্য করে কেবল নিজেরাই সম্পদশালী হবেন, আর বড় লোক হবেন সেই চিন্তা-ভাবনা যেন না থাকে। মনে রাখতে হবে আপনাদেরকে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো দিচ্ছি অর্থাৎ আমরা সরকার হিসেবে ফ্যাসিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি আপনাদের সেই সুযোগ নিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণ করতে হবে, দেশের মানুষের উন্নতি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কামিটির সভাপতি মো.তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ।
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা শিল্প কল-কারখানা গড়ে তুলবেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা রপ্তানীকে গুরুত্ব দেই। আবার এটাও ভাবতে হবে আমার নিজের দেশে বাজার সৃষ্টি করতে হবে। নিজের দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আজকে আমার দেশের মানুষের যদি আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে আমার দেশের মানুষের যদি ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে তাহলে মানুষ যেমন ভালো থাকবে তেমনি আপনাদের শিল্পের প্রসার ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশে নয়, এই সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় আপনারা যেন পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন সেই সুযোগটাও আমরাই সৃষ্টি করে দিয়েছি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল) এবং বিসিআইএম-ইসি’র (বাংলাদেশ, চিন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার- অর্থনৈতিক করিডোর) প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই পার্শ্ববর্তী ৪টি, ৪টি মোট ৮টি দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের কারণে আমাদের দেশের শিল্পায়নও যেভাবে ঘটবে তেমনি পণ্যের বাজারজাত করণেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজারই শুধু না কোন দেশের কোন এলাকায় কোন পণ্যের চাহিদা বেশি এবং কোন পণ্যের উৎপাদন আমাদের দেশে সম্ভব তা আপনাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। সেই সাথে সাথে সেসব পণ্য আপনাদের উৎপাদন করে নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
’৯৬ সালে তার সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে সেখানে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমূক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন এবং পরবর্তিতে জাপান এবং ভারতসহ প্রতিবেশি বেশ কয়েকটি দেশেও বেশ কিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের জনগণের ওপর আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তারা এত যোগ্য, তাদের মেধা এত ভালো একটু সুযোগ পেলেই তারা যেকোন পণ্য উৎপাদন করতে পারবে সে ধরনের সক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষের আছে। তাদেরকে শুধু পথ দেখাতে হবে, ট্রেডিং দিতে হবে- এটাই আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বলেন, আপনারা শুধু কয়েকটি দেশ ঘুরে ঐ কোন দেশক জিএসপি দিল না সেজন্য স্যারদের পেছনে না ঘুরে আপনারা নিজেরাই অন্য বাজার খুঁজে বের করেন। তখন ওরাই আপনাদের পেছনে দৌঁড়াবে। কারণ আমাদের দেশ পন্য যতটা দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহ করতে পারবে অন্য দেশ তা পারবে না। কাজেই আমাদের ব্যবসায়ীদেরকেও সে উদ্যোগ নিতে হবে। কাজার খুঁজে ফেরা আর আমাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রটা প্রসারিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর একশ’টি দেশে এখন আমরা পণ্য রপ্তানী করছি। আমাদের বহুপণ্য আজকে বিদেশে যাচ্ছে। বিশ্ব এখন পরিবেশ বিষয়ে সচেতন। যে কারণে পাট ও পাটজাত পণ্যের বিরাট একটা বাজার আজকে সৃষ্টি হয়েছে কারণ পাট হলো একটি কৃষি পণ্য। কাজেই পাট ও পাটজাত পণ্য যতটা উৎপাদন করা যায় তা আমরা বিদেশে রপ্তানী করতে পারি। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে গবেষণা করে আমরা পাটের জন্ম রহস্য যেমন উন্মোেচান করেছি তেমনি পাট নিয়ে গবেষণা করে পাটের বেশ কিছু প্রডাক্ট আমরা পেয়েছি। যে গুলো উৎপাদন করে বিদেশেও রপ্তানী করতে পারি আবার দেশের কাজেও লাগাতে পারি। যাতে করে কৃষকরাও লাভবান হবে। এভাবেই আমাদের রপ্তানীকে বহুমুখী করণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, আপনারা ব্যবসায়ীরা ঐ গতানুগতিক কিছু পণ্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে কিভাবে পণ্যের বহুমুখিকরণ করা যায় সেদিকে নজর দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় এফবিসিসিআই’র একটি পৃথক গবেষণা সেল থাকা উচিত। যাদের কাজ হবে গবেষণা করা পৃথিবীর কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা সেই পণ্য উৎপাদন করার মত সক্ষমতা আমাদের দেশের রয়েছে কি না, আমাদের কাঁচামাল আছে কি না, সেগুলি আমদানি করা। এ ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা যেতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে যদি আমরা দারিদ্রমুক্ত করতে চাই তাহলে অন্যান্য দিকে থেকেও আমাদের এগোতে হবে। শিল্পায়নটাও দরকার। সে দিকেই লক্ষ্য রেখে আমরা একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বলেন, আপনারা যদি বিনিয়োগ করতে চান তাহলে এসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে করতে হবে কারণ সেখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুবিধা আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি।
যত্রতত্র শিল্প কারখানা স্থাপন করলে অনেক ক্ষেত্রেই সেখানে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাদি দেয়া সম্ভব হয না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সরকার নির্দিষ্ট শিল্পঞ্চলেই শিল্প কারখানা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। যেটি বিদেশিরাও স্বীকার করে নেন। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার মাঝেও আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আজকে অনেক দেশই বিস্ময় প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, অনেকে রাষ্ট্র প্রধানও আমার কাছে জানতে চেয়েছেন ম্যাজ্যিকটা কি ? আমি উত্তরে বলেছি ম্যাজিক-ট্যাজিক কিছুই না। বিষয়টা আন্তরিকতার, দেশের মানুষের প্রতি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার। এই দেশকে আমরা উন্নত করবো-এটাই হচ্ছে প্রতিজ্ঞা। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বললে যে করতে পারি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ সেটারই প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেক দেশই আমাদের প্রশংসা করেন আমরা প্রশংসা মাথা পেতে নেই। কিন্তু প্রশংসা শুনে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। আমাদেরকে আরো অনেক দূর যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-২০১৬ সালে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তার সরকার রপ্তানিতে উৎসাহদানের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে কয়েকটি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ২ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। রপ্তানিকারকদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ করা হচ্ছে। চীন সরকারের সহায়তায় পূর্বাচলে নির্মাণ করা হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার। যেখানে ২০১৯ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বেসরকারিখাতে মোবাইল ফোনকে ছেড়ে দেয়ায় এই পণ্যটি সাধারণ জনগণের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে উল্লেখ করে অদূর ভবিষ্যতে ফোরজিও চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গতি আনয়ণে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন এগ্রিমেন্ট-টিএফএ অনুসমর্থন করেছি। বিশ্ব ব্যাংকের কষ্ট অব ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্লোবাল কমপিটিটিভ ইনডেক্স, গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স- ইত্যাদিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’র (ডব্লিউটিও) বাণিজ্য উদারীকরণের ফলে আমদানি শুল্ক হ্রাস পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ব্যবসায়ীদের বলব আপনাদের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড ঠিক থাকে,মান বাজায় থাকে এবং পণ্যটি বাজারজাতকরণের মত উপযুক্ত হয় বিষয়টিতে আপনাদের নজর দিতে হবে। পণ্য উৎপাদেনের কোয়ালিটি সুনিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ব্যবসয়ীদের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানিয়ে বলেন, আজকে কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেই বিনিয়োগ করতে আসতে চাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনারাও কিন্তু আপনাদের পার্টনার খুঁজে নিতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানেই যাচ্ছি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে সকল দেশই আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং বড় বড় দেশগুলি বিশাল অংকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। সেই সুযোগটা আপনাদের নিতে হবে। সেটাই আমরা চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিতে চাই। এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রী সকলকে একযোগে কাজ করে যাবারও আহবান জানান।