সাকার মামলায় সালমানের বদলে সাক্ষী আব্দুল মোমেন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের মামলায় সালমান এফ রহমান ট্রাইব্যুনালে না যাওয়ায় তার বদলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সাবেক কূটনীতিক আব্দুল মোমেন চৌধুরী।
বুধবার সালাউদ্দিনের পক্ষে সাক্ষী হাজিরে বেঁধে দেয়া সময়ের শেষ দিনে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, মামলার চতুর্থ সাফাই সাক্ষী এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান আদালতে আসতে পারছেন না।
আসামিপক্ষ সালমানের বদলে সাবেক কূটনীতিক আব্দুল মোমেনের নাম প্রস্তাব করলে আদালত তাকে বেলা ১২টার মধ্যে হাজির করতে বলে।
এরপর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির হয়ে চতুর্থ সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে শুরু করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোমেন।আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী হাজির করতে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে তালিকভুক্ত দুই সাক্ষীকে আদালতে আনতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
বিচারক মঙ্গলবার শুনানিতে বলেন, “ন্যায়বিচারের স্বার্থে আজ আবারো সুযোগ দেয়া হলো। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সুযোগ আর দেয়া হবে না।”
এর আগে ব্যারিস্টার ফখরুল ট্রাইব্যুনালকে জানান, সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষের চতুর্থ সাক্ষী সালমান এফ রহমান এখন মক্কায়। তিনি ২৮ জুলাই দেশে ফিরবেন। এ কারণে সাক্ষীকে রোজার ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসার অনুমতি চান আইনজীবী।
আর তালিকার পঞ্চম সাফাই সাক্ষী বিচারপতি শামীম হাসনাইন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, “মাননীয় এ বিচারপতি ট্রাইব্যুনালে এসে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু এখনো অনুমতি মেলেনি।”
অবশ্য প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম মঙ্গলবার আদেশের পরে সাংবাদিকদের বলেন, “আসামিপক্ষের আইনজীবী মিথ্যাচার করে গেছেন। আমরা জানতে পেরেছি চতুর্থ সাফাই সাক্ষী সালমান এফ রহমান দেশেই আছেন।”
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে পাঁচ সাফাই সাক্ষীর মধ্যে তিনি নিজেসহ মোট তিনজন এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকি দুজন হলেন- তার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু নিজাম আহমেদ এবং এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও তার খালাত ভাই কাইয়ুম রেজা চৌধুরী।
ওই তালিকার চতুর্থ সাক্ষী আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে শুনানির সময় নিজের ‘ফার্স্ট কাজিন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের।হরতালে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। পরে ১৯ ডিসেম্বর তাকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগে গতবছরের ৪ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই বিএনপি নেতার বিচার শুরু হয়। ওই বছর ১৪ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।