চিরিরবন্দরে ১০টি গ্রামের একটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি ব্রীজের। নশরতপুর ঈদগাঁহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতি নদীতে নির্মিত বাঁশের সাঁকো হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা।
এলাকাবাসীর উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে তৈরি এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী ও খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়ুয়াসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই বাঁশের সাঁকো।
এছাড়া প্রতিদিন ব্যবসায়ী ছাড়াও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংযোগস্থলের রাস্তা সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে প্রায়ই ঘটে থাকে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সেতু না থাকায় যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় জনমনে এক ধরণের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সাঁকোর বদলে একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। স্বল্প সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আলোকডিহি জে বি উচ্চ বিদ্যালয়, রাণীরবন্দর এন আই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমড়িয়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলার প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী রাণীরবন্দরহাট ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এলাকার লোকজন সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।
এ ব্যাপারে নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান জানান, গ্রামবাসীর একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগের সীমা নেই। ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও সেতু তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এটি নির্মাণে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।