নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ইন্টারঅ্যাকটিভ ই-বুকে রূপান্তর করা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ইন্টারঅ্যাকটিভ ই-বুকে রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাঠদান পদ্ধতি আরো উন্নত ও সহজতর করার জন্য সরকার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল রিডিং মেটেরিয়েল দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এসব ই-লার্নিং রিসোর্স ও ই-ম্যানুয়েল প্রকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পাঠ নিতে পারবে এবং শিক্ষকরাও পাঠদানের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে একটি গাইডলাইন পাবেন।
আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লার্নিং ও ই-ম্যানুয়েল কনটেন্ট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ (টিকিউআই-২) প্রকল্পের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সার্বিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে এথিকস এডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) এই ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেছে।
শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক প্রয়োজন। পাঠদান পদ্ধতি উন্নত ও সহজ করা প্রয়োজন। পাঠ্যপুস্তক সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য করা এবং ক্লাসরুমের পরিবেশ আনন্দময় করাও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ৪০ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করে কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
শিক্ষার মান উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেসব স্কুলে গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা পাশ করত না, সেসব স্কুলে সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ফলে এসব স্কুলে পাশের হার বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, টিকিউআই প্রকল্পের সাবেক পরিচালক বনমালী ভৌমিক, এনসিটিবি‘র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, টিকিউআই-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. জহির উদ্দিন বাবর, এডিবি‘র সিনিয়র সোসাল সেক্টর অফিসার এস এম এবাদুর রহমান এবং ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বক্তব্য রাখেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী আনষ্ঠিানিকভাবে ই-লার্নিং ও ই-ম্যানুয়েল উদ্বোধন করেন। ই-লার্নিং কনটেন্টে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, সাধারণ গণিত, ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের অনুশীলনগুলো পাওয়া যাবে। এনসিটিবি‘র ওয়েবসাইট িি.িহপঃন.মড়া.নফ-তে এ বিষয়গুলোর ই-কনটেন্ট পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ