ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আকর্ষনীয় কয়েকটি স্থান
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিশ্বের মধ্যে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম যারা ভ্রমণ পিপাসু নয়। প্রত্যেকটি মানুষই তাদের শরীরকে একটু প্রশান্তি দিতে এবং প্রকৃতির সঙ্গে আলিঙ্গন করতে পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যান। কিন্তু এজন্য আগে থেকেই পছন্দের জায়গা নির্ধারণ করতে হয়। আজ এমন কিছু জায়গা সম্পর্কে জেনে নিন যেসব স্থানে গেলে ফিরে আসতে মন চাইবে না……
১. লরা, মার্শাল আইল্যান্ড
লরা একটি দ্বীপ এবং একটি ছোট্ট শহর যা অবস্থিত মার্শাল দ্বীপে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ ফুট উঁচু। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপমালার অন্তর্গত। এখানে এটাই সর্বোচ্চ। এখানে চমৎকার সব বিচ উপভোগ করতে পারবেন আপনি। কোনো ভিড় নেই। শুধুই শান্তি।
২. ফারো আইল্যান্ড
উত্তর স্কটল্যন্ডের পাথুরে রহস্যময় গঠনের একটি এলাকা ফারো আইল্যান্ড। বিভিন্ন ক্লিফের কারণে বহু বছর এখানে প্রবেশ করা ছিল মানুষের অসাধ্য। মাত্র ১৮ জন মানুষের বাস এখানে। ২৩০০ ফুট উঁচু পর্বত নিশ্চিত করেছে এদের সুরক্ষা। মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সাথে বোনাস হিসেবে নাম না জানা অসংখ্য পাখির দেখা পাবেন এখানে।
৩. বাভারিয়া, জার্মানি
জার্মানির সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় এই রিসোর্টটির অবস্থান। ৯,৭১৮ ফুট উঁচুতে ২টি আলাদা স্থাপত্য ছিল। একটি রোমানদের তৈরি আর অপরটি টিউটনসদের। ১৯৩৬ সালে অলিম্পিক গেমসের সময় এটিকে একত্র করা হয়। এখানে ভ্রমণ একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। পর্বতের ওপর থেকে উপভোগ করুন অপূর্ব সবুজ শহরটি। একই সাথে দেখুন পাহাড়ে পাহাড়ে রঙের খেলা। দেখুন সূর্যাস্ত। নীরব প্রকৃতি যেন ধ্যানের জন্যই অপেক্ষমান।
৪. রেইন, নরওয়ে
উত্তর সাগরের তীরবর্তী মাছ ধরার গ্রাম রেইনে। ২০১১ সালের হিসেব মতে এর জনসংখ্যা মাঠে ৩২৯ জন। নরওয়ের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম হিসেবে ভোটেও নির্বাচিত ক্ষুদ্র মনোলোভা এলাকাটি। উত্তর সাগরের টলটলে জ্বলে প্রতিদিন সূর্যের আলোয় প্রতিবিম্বিত হয় গ্রামটি। যেন রূপকথার কোনো সাম্রাজ্য। নিজেকে খুঁজে পেতে এর চেয়ে সুন্দর জায়গা আর হয় না।
৫. কোমলার, ফ্রান্স
ছোট্ট সুন্দর একটি গ্রাম হল কোমলার। পুরাতন রাস্তা, ছোট ছোট ঘর সব মিলিয়ে রঙ্গিন ছবির মত সুন্দর একটি অঞ্চল। প্রাচীন পাথুরে ঘরগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে অতীতের কল্পনায়। ছোট্ট গ্রাম, জনসংখ্যাও কম। নিরিবিলি আবেশে মুগ্ধ হয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন একটি ভ্যাকেশন এখানে।
৬. হিমালয়, তিব্বত
এটি এমন একটি গ্রাম যেখানে আপনি পাবেন সমস্ত হিমালয়কে। হিমালয়ের গুরুগম্ভীর নীরবতা আর অপরূপ প্রকৃতি আপনাকে নিয়ে যাবে পার্থিব সব যন্ত্রণা থেকে দূরে। এখানে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত শুধু শিতল নিরবতা। তবে এখানে পৌছতে হলে উপায় শুধু হেটে যাওয়া অথবা ঘোড়ায় চড়ে যাওয়া।