অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড সেবনের ক্ষতিকর প্রভাব
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বুক জ্বালা-পোড়া থেকে মুরু করে পেটের কোন সমস্যা হলেই অনেকে অ্যান্টাসিড সেবন করেন। এর ফলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর চিকিৎসকরা জানিয়েছে, অ্যান্টাসিড সেবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে কিডনিতে।
বেশি পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে অতিরিক্ত মাত্রার ঢেঁকুর, হার্টের কাজের ব্যাঘাত ও কিডনিতে ফসফেটজাতীয় পাথর জমা হয় এবং পরবর্তীকালে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসকদের দাবি, অ্যান্টাসিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অম্বল কমানোর চেয়ে বাড়িয়ে দেয়।
অ্যান্টাসিডের অ্যালুমিনিয়াম হাউড্রক্সাইডও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয় বলে কিডনির সমস্যা থাকলে মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি রক্তে ফসফেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয় বলে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি ডেকে আনতে পারে অ্যালঝাইমার্স রোগ। ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রক্সাইড ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের কারণে ডায়েরিয়া প্রকট হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তাছাড়া অ্যান্টাসিডে থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। যা রক্তে লবণের প্রকৃতি বদলে দেয়। এছাড়া এর প্রভাবে এন্সিফ্যালোপ্যাথি ঘটাতে পারে। এটি মস্তিষ্কের মারাত্মক রোগ যার অন্য নাম ডিমেনশিয়া।
অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড মিল্ক অ্যালকালি সিনড্রোম ঘটায়। এর মাত্রা বেশি হলে রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পৌঁছায় যা কিডনি ফেলিওরের কারণ। দিনের পরদিন অ্যান্টাসিড ব্যবহারে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বলেও চিকিৎসকরা আশংকা করেন।
এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী মাথার যন্ত্রণা এবং হাড়ের রোগ, পেশির ক্ষতি, আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই যখন-তখন অ্যান্টাসিড সেবন না করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।