প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন নিয়ে আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ ঘটনায় এক পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনের জন্য গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। সভায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে এক হয়ে কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় দুই পক্ষকে আলাদা সময়ে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়। কর্মসূচি চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শহরের সরকারপাড়া থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন।

জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে মাহাবুব হোসেনকে সভাপতি ও সানোয়ার পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের একাংশ এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জি এম সিরাজী মিজানকে সভাপতি ও সৌরভ চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ অভিযোগ করেন, ‘গত বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কয়েকজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে। এ বছর জেলা ছাত্রলীগের মূল কমিটি যাতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে না পারে, সে জন্য ওই বহিষ্কৃত নেতা–কর্মীরা সেটি দখল করে রাখেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে যাওয়ার সময় বহিষ্কৃত নেতা–কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান।’

অপর দিকে জি এম সিরাজী মিজান বলেন, ‘এ কমিটি তৃণমূল ছাত্রলীগের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরাই ছাত্রলীগের প্রকৃত কমিটি। অবৈধ কমিটির লোকজন আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমরা তাদের প্রতিরোধ করি।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ