ছাত্রলীগ করলেও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হতে পারিনি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি ছাত্রলীগ করলেও কখনো কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হতে পারিনি। বুধবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান সকলের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমি ছাত্রলীগের একজন সাধারণ সদস্য ছিলাম। ছাত্রলীগের একটি শাখা সংগঠনের সভাপতিও ছিলাম। ছাত্রলীগের হয়ে একটি কলেজে ভিপি নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলাম।
বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা প্রস্তাবের পর ওই নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আমি জিতলে ৬ দফার জয় হবে, এর প্রতি জনগনের সমর্থন আসবে, এই ভয়ে আইয়ুব-মোনায়েম আমার বিরোধিতা করেছিল।
ছাত্রলীগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনও কর্মসূচি দিলে ছাত্রলীগ সেটাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতো। দেশের প্রতিটি সংগ্রামে ছাত্রলীগ কাজ করেছে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে ছাত্রলীগের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আমি ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সকল নেতাকর্মীকে অভিনন্দন জানাই।
এসময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকাণ্ডের নিন্দাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এমপি লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের এলাকা। জামায়াতবিরোধী একটা শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন বলেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আগেও তার ওপর কয়েকবার হামলা হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘লিটন ওখানে জামায়াতবিরোধী শক্ত অবস্থান নিয়েছিল’। আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সব সময় সাহায্য করত। জানি না ওদের আর কী পরিকল্পনা আছে। যখন তারা নির্বাচন করল না, ব্যর্থ হলো। আন্দোলন করে সরকার উৎখাতে ব্যর্থ হলো। এখন গুপ্তহত্যা। এটা বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। খুন করাই তাদের চরিত্র। এটা নতুন নয়। তারাই তো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিয়েছিল।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যতই হত্যাকাণ্ড আর সন্ত্রাস চালানো হোক, দেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না, উন্নয়ন কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।