অদ্ভুত উপায়ে নিয়ে এসেছে সোনা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: অদ্ভুতভাবে হাঁটছিলেন এক যাত্রী। সন্দেহ হওয়ায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু তিনি সঙ্গে করে সোনা আনার কথা মানতে নারাজ। এরপর করা হয় এক্স-রে। পায়ুপথে অস্বাভাবিক তিনটি পুঁটলি দেখা যায়। এরপরও যাত্রীর ওই এক কথা—না, সঙ্গে কিছুই নেই। অস্ত্রোপচারের ভয় দেখানোর পর নরম হন তিনি। এরপর বিশেষ কায়দায় বের করে আনেন লুকোনো সোনা।
রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীর কাছ থেকে ১২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, এসব সোনার দাম আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা।
যাত্রীর নাম শরীফ আহমেদ। বাড়ি কুমিল্লায়। মালিন্দ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় নাটক।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, তাদের কাছে আগেই ওই যাত্রীর ব্যাপারে গোপন খবর ছিল। কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে চলে যাওয়ার সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাঁটাচলায় অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ে। বারবার জিজ্ঞেস করার পরও সোনা আনার কথা স্বীকার করেননি ওই যাত্রী। দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁকে নেওয়া হয় বেসরকারি একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। করা হয় এক্স-রে। এতে পায়ুপথে তিনটি অস্বাভাবিক পুঁটলি দেখা যায়।
যাত্রী শরীফকে এগুলোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। সোনা আনার কথা অস্বীকার করে শরীফ তাঁর আত্মীয় বড় কর্মকর্তার কথা বলে হুমকি দেন। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ‘দেখে নেব’ বলে হুমকি দেন। অস্ত্রোপচারের ভয় দেখানোর পর নরম হন শরীফ। জানান, বিশেষ কায়দায় বের করে দেবেন সোনা।
শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লুঙ্গি নিয়ে পরেন শরীফ। এরপর কাস্টমসের টয়লেটে যান। শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে পায়ুপথে বিশেষ কায়দায় লুকানো তিনটি কনডম বের করেন। এগুলোর ভেতরে চারটি করে মোট ১২টি সোনার বার পাওয়া যায়।
শরীফ জানান, চারটি সোনার বার স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে একটি কনডমের ভেতরে ঢোকান। এরপর আবার টেপ দিয়ে প্যাঁচান। এ রকম তিনটি কনডম বিশেষ কায়দায় পায়ুপথে ঢোকান। মালয়েশিয়াতে এর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি।
গত ১৭ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরে এক যাত্রীর পায়ুপথ থেকে আটটি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক বিভাগ।