এখনো সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি এখনো পায়নি বিএনপি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কাল শনিবার বিকেলে বিএনপির এই সমাবেশ হওয়ার কথা। তবে দলটি আশা করছে, শেষ মুহূর্তে তারা সমাবেশের অনুমতি পাবে।
বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ৫ জানুয়ারি দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। এবারও দিনটি উপলক্ষে গতকাল দেশের বিভিন্ন জেলায় কালো পতাকা মিছিল করে দলটি। এ ছাড়া কাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ শুক্রবার দুপুরে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে জানতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে যায়। তবে তাঁরা ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি। প্রতিনিধিদলে থাকা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। তবে তিনজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। বিএনপি এখনো সমাবেশের অনুমতি পায়নি। তবে তাঁরা মনে করছেন, শেষ মুহূর্তে সমাবেশের অনুমতি পাবেন।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারি দল ঢাকঢোল পিটিয়ে সভা-সমাবেশ করলেও বিরোধী দলের বেলায় যত বিপত্তি। তাঁরা আশা করছেন, দ্রুত সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি ঘোষিত সমাবেশ সফল করতে বিএনপি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আগামীকালের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গণপূর্ত বিভাগসহ পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। সরকারি দল ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সভা-সমাবেশ করলেও বিরোধী দলের বেলায় যত বিপত্তি। মূলত সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় দেশে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি, এই মুহূর্তে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হোক।’
রিজভী অভিযোগ করেন, গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত। মার্কেটটি আত্মসাৎ করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর সঙ্গে সরকারি দলের যোগসূত্র আছে। রিজভীর ভাষায়, ‘সরকারের কর্মপদ্ধতির ধারাবাহিকতা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে গুলশান-১-এর ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের প্রলয়ও একটি নাশকতা এবং এর সঙ্গে শাসক দলের যোগসূত্র আছে। আর সে জন্যই এরা বারবার অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অপকর্ম বা ব্যর্থতাকে আড়াল করতেই এ ধরনের বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়ে থাকে। মার্কেটটি আত্মসাৎ করার জন্য ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা একটি পরিকল্পিত নাশকতা।’