বিমানের ফ্লাইট থেকে ১২৪ কেজি সোনা উদ্ধার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, চট্টগ্রামঃ নেপাল থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে ১২৪ কেজি সোনার বার পাওয়া গেছে।
একদিন আগেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ব্যাগে পাওয়া যায় ১৭ কেজি সোনার বার। তার আগে এই মাসের শুরুতে শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক হয় ২৫ কেজি সোনার বার।
শাহজালাল বিমানবন্দরে বুধবার আটক করা সোনার আনুমানিক দাম ৫৪ কোটি টাকা।
পুলিশ বলছে, বিমান কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ ছাড়া এই বিপুল পরিমাণ সোনা চোরাচালানের চেষ্টা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।
পুলিশ বলছে, কাঠমান্ডু থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১২৪ কেজি ওজনের ১ হাজার ৬৫টি সোনার বার তারাই আটক করেন।
তবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) দাবি করেছে, এই সোনা আটকে যৌথঅভিযানে তারাও ছিল।
এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিমানের বিজি ৭০২ ফ্লাইটের লাগেজ চেম্বার থেকে ১০ তোলা ওজনের সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার কাজে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও এপিবিএন যৌথভাবে কাজ করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
গোপনে সোনার বারগুলো নামিয়ে মালিকের কাছে পৌঁছানোর আয়োজন চলছিল বলে আলমগীর জানান।
কাস্টমস পুলিশের সহকারী কমিশনার কামরুল ইসলাম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস পুলিশ এককভাবে বিমানের লাগেজ চেম্বার থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করে।
এপিবিএন কর্মকর্তা আলমগীর বলেন, “গোপনে বিমানের লাগেজ চেম্বারে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে আসার পেছনে বিমান কর্তৃপক্ষের কেউ না কেউ অবশ্যই জড়িত।”
ওই ফ্লাইটে যারা নেপাল থেকে এসেছেন, তাদের সবার ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
কাস্টমস পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “যে এলাকা থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার হয়েছে,
সেখানে বিমানের লোক ছাড়া কেউ প্রবেশই করতে পারে না। তাই এ চোরাচালানের দায়ভার কখনো বিমান কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।”
এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক খান মোশাররফ হোসেন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “বিষয়টি আমি জানি না। জেনে তারপর বলতে পারব।”
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে মাস্কাট থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের ১৪৬টি সোনার বার পাওয়া যায়।
আর গত ৬ জুলাই ঢাকায় শাহজালালে কুয়েত থেকে আসা একটি বিমানে পাওয়া যায় প্রায় ২৫ কেজি সোনার বার।