বাবার ভিটায় সুবর্ণা মুস্তাফা

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শক্তিমান অভিনেতা ও আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফা যখন বেঁচে ছিলেন, তখন মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফার বাবার জন্মভিটা দেখার সময়-সুযোগ হয়নি। বাবা মারা যাওয়ার চৌদ্দ বছরের মাথায় সেখানে গেলেন তিনি। স্বামী বদরুল আনাম সৌদের প্রথম সিনেমা গহীন বালুচর-এর শুটিং সেই সুযোগটি করে দিল। অনুদানের এই সিনেমার শুটিং হচ্ছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে।
সপ্তাহ দুয়েক ধরে নলছিটিতে শুটিং শুরু হয়েছে গহীন বালুচর সিনেমার। এ ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। শুটিংয়ের একটা পর্যায়ে গত শুক্রবার বাবার জন্মভিটা দেখতে যান এই অভিনেত্রী। বাবার ঘর, খেলার উঠোন আর দাদার কবরও ঘুরে দেখেন তিনি। বাবা-দাদাকে ঘিরে এসব স্মৃতি তাঁর ভেতরে মিশ্র আবেগ-অনুভূতির জন্ম দেয়। স্মৃতি ধরে রাখতে কিছু ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন।
রোববার আলাপকালে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘ছবির পেছনে যে বাড়িটা, এটাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেই উঠোনে বাবা খেলাধুলা করতেন। শুনেছি খুব ছোটবেলায় বাবা এখান থেকে চলে যান। এরপর আর কখনোই আসেননি। চাচারা আসতেন। একটু মিশ্র আবেগ কাজ করেছে। দাদার কবরটা দেখলাম। এই অনুভূতি আসলে ব্যাখ্যা করা খুবই জটিল।’
দপদপিয়া ইউনিয়নে গোলাম মুস্তাফা যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে এখন তাঁর আত্মীয়রা থাকেন বলে জানান সুবর্ণা মুস্তাফা। গহীন বালুচর সিনেমার গল্পের কারণে শুটিং পরিকল্পনার সময়ই এই ইউনিয়ন বেছে নেওয়া হয়। তখন ছবির পরিচালক বদরুল আনাম সৌদ এসে স্পট দেখে যান। সে সময় সুবর্ণা মুস্তাফার আত্মীয়রা লোকেশন দেখতে খুব সহযোগিতা করেন। সুবর্ণা বলেন, ‘খুবই কাকতালীয় ব্যাপার। ভাগ্যটাই হয়তো এমন ছিল যে নিজেদের প্রথম অনুদানের ছবিটার ব্যাকড্রপ আমাদের বাড়ি হবে। এই ব্যাপারটা ভাবতেই খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে।’
দপদপিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অভিনয়শিল্পী ও আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফা। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। ১৯৬০ সালে রাজধানীর বুকে ছবিতে জমিদারের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। প্রথম ছবি থেকেই তিনি নানা চরিত্রের শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। টেলিভিশনেও ছিল তাঁর দাপুটে পদচারণ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ