শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের নামে সড়কের নামফলক উন্মোচন
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: গত বছরের ঈদুল ফিতরের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ কনস্টেবল আনছারুল হক, জহিরুল ইসলাম ও গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের নামে নির্মিত সড়কগুলোর নামফলক উন্মোচন করা হয়েছে। নামফলক উন্মোচন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তিনি শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলাস্থল মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদ মোড়ে নির্মিত সড়কগুলোর নামফলক উন্মোচন করেন। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা সড়কগুলো নির্মাণ করে। পরে নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
শোলাকিয়ার পূর্বাশা ক্লাব থেকে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়কটি নিহত দুই পুলিশ কনস্টেবলের নামে নামকরণ করা হয়। আর জামে মসজিদ মোড় থেকে সবুজবাগ এলাকার সড়কটির নামকরণ করা হয় নিহত ঝর্ণা রানী ভৌমিকের নামে।
এ সময় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান, সদর পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৭৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
গত ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে পুলিশের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিরা প্রথমে গ্রেনেড ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে। শোলাকিয়া মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনার সময় জঙ্গিরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্য আনছারুল হক ও জহিরুল ইসলামের ওপর গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তাঁরা আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে জঙ্গিরা তাঁদের নির্মমভাবে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে জঙ্গিরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ঘরের ভেতর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন স্থানীয় গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক। একই সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আবির রহমান নামে এক জঙ্গি। পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করে শফিউল ইসলাম নামের আরেক জঙ্গিকে। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে আটক করা হয় জাহিদুল হক ওরফে তানিমকে। পরে শোলাকিয়া হামলা মামলার প্রধান আসামি শফিউল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ময়মনসিংহের নান্দাইলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আর জাহিদুল হক ওরফে তানিম এখন কিশোরগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন।