বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ২০ বছর আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো।’

তিনি বলেন, ‘দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমরা প্রত্যেকের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করব। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। দেশের সকল নাগরিকের জন্য মানসম্মত আবাসন গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা বাংলার মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয়নি।

প্রায় সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা স্থলে উপস্থিত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যে নির্দেশ জাতির পিতা দিতেন বাঙালিরা সেই নির্দেশ মেনে নিতেন।

মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এদিকে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে বেলা ১২টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন শাখা ও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন।

শেখ হাসিনর বক্তব্য শুরুর পূর্বেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাস্থল পূর্ণ হয়ে যায়। উদ্যানের বাইরেও নেতাকর্মীরা ভীড় করেন। এছাড়া শাহবাগ, দোয়েল চত্বরসহ আশাপাশের বিভিন্ন মোড়গুলোতেও নেতাকর্মীদের ভীড় লক্ষ্যণীয়।

আওয়ামী লীগের এ জনসভা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশপাশের এলাকায়। রাজধানীতে যান চলাচলেও দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশে মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্ব নেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

এ দিবসে উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ