জিয়া ইসলামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রথম আলোর প্রধান আলোকচিত্র সাংবাদিক জিয়া ইসলামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর আজ বুধবার দুপুরের দিকে তাঁর একটি চোখ সাড়া দিতে শুরু করেছে। শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জিয়া ইসলামের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন করে আজ বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকেরা বলেছেন, জিয়া ইসলামের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক। রক্তচাপ স্বাভাবিক। তাঁর একটি চোখে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার্বিক অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত আছে। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কি না, তা বুঝতে হলে অস্ত্রোপচারের পর থেকে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসারত জিয়া ইসলামের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হলে তারপর জিয়া ইসলামের অন্যান্য চিকিৎসা শুরু হবে। ইতিমধ্যে হাসপাতালটির চক্ষু, হাড়, চর্ম ও চোয়াল বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দেখে গেছেন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা শপিংমলের সামনের সড়কে একটি গাড়ি জিয়ার মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর জিয়া অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সংকটাপন্ন অবস্থা দেখে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর একটি পা ভেঙে গেছে। তবে সবচেয়ে গুরুতর হলো মাথার আঘাত।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে জিয়া ইসলামকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে পর্যবেক্ষণের সময় বাড়তে পারে।
এদিকে জিয়া ইসলামকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার কল্যাণ কোরাইয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাঁকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ আদেশ দেন।
প্রায় দুই দশকের সাংবাদিকতা জীবনে বহুবার হামলা ও দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন জিয়া ইসলাম। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনাতেও তিনি আহত হয়েছিলেন। আহত হলেও তিনি ক্যামেরা ছাড়েননি। ২১ আগস্ট হামলার বহুল প্রচারিত ছবিগুলোর বেশির ভাগই জিয়া ইসলামের তোলা।