পোল্যান্ডে মার্কিন সেনা-ট্যাংক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: পোল্যান্ডে তিন হাজার মার্কিন সেনা ও ট্যাংক মোতায়েনের ঘটনাকে নিজেদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে মনে করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার আগ্রাসী ভূমিকার কারণে ন্যাটো জোট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। তারা বারবার এ কথা বলার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ থেকে ওই সেনা সমাবেশ ঘটানো হলো। এটি গত এক দশকের মধ্যে ইউরোপের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ঘটনা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন এই পদক্ষেপে ‘আমাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। এটি তৃতীয় কোনো দেশ, যারা ইউরোপে আমাদের সীমান্তে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা যে দেশ ঘটাচ্ছে, তারা ইউরোপীয় দেশ নয়।’

রাশিয়ান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সেই মেককভ বলেছেন, সেনা মোতায়েনের ঘটনা ইউরোপীয় নিরাপত্তার অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।

পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষাসচিব তোমাজভ সোজাতকোয়াস্কি বলেন, এই সেনা মোতায়েনের কারণ হলো সীমান্তে রাশিয়ার ‘বৃহৎ সামরিক অনুশীলন’। তিনি আরও বলেন, ‘এর প্রয়োজন ছিল। কারণ হলো সীমান্ত আমাদের সন্নিকটের অঞ্চলগুলোতে আক্রমণাত্মক কাজ হচ্ছে—আমি ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ার অবৈধ হস্তক্ষেপের কথা বলছি।’

৮০টির বেশি যুদ্ধ ট্যাংক এবং শতাধিক সাঁজোয়াযান ইতিমধ্যে জার্মানি পৌঁছেছে। সেখান থেকে ট্যাংক ও সাঁজোয়াযানগুলো সড়ক ও রেলপথে পূর্ব ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।
মার্কিন ট্যাংক ও সাঁজোয়া এসব যানবাহনের কিছু অংশ বৃহস্পতিবার জার্মানির সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডের ওলসজাইনাতে পৌঁছাবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার কয়েক দিন আগেই পূর্ব ইউরোপে মার্কিন বাহিনীর আগমন ঘটল। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই বলে আসছেন, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান তিনি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ