আদালত ভবনের সিসি ক্যামেরা চুরি !
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের নিচতলায় অবস্থিত হাজতখানার সামনে থেকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে পুলিশের আদালত উপপরিদর্শক (সিএসআই) মো. ইউনুছ আলী দেওয়ান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় এ মামলা করেন।
এদিকে, আজ রোববার সকালে জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় সিসি ক্যামেরা চুরির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক মাস আগে শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের নিচতলায় অবস্থিত হাজতখানার সামনেও একটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা যায়, হাজতখানার সামনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাটি নেই। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মোমিনুল ইসলাম ও পুলিশের আদালত পরিদর্শক (সিআই) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা হাজতখানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও আদালতের নৈশপ্রহরীদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সিএসআই ইউনুছ আলী দেওয়ান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে এলাহি আজ রোববার বিকেলে বলেন, তাঁরা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছেন। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আদালত ভবনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই তাঁরা নিয়ন্ত্রণকক্ষে রক্ষিত ফুটেজ দেখে এ চুরির সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া জেলা জজের অনুমতিক্রমে ঘটনার দিন রাতে আদালত প্রাঙ্গণে দায়িত্বরত নৈশপ্রহরীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান।
মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আজ রোববার সন্ধ্যায় বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই আজ বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদারের সভাপতিত্বে তাঁর সভাকক্ষে বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মোমিনুল ইসলাম।