জেলা শহরে এমআরপি মেশিন বসছে না
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নিরাপত্তার স্বার্থে সব জেলা শহরে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) মেশিন বসানো সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাতেই পাসপোর্ট তৈরি করা হবে। আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দশম সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেলা পর্যায়ের সব পাসপোর্ট অফিসে এমআরপি মেশিন বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী সংসদীয় কমিটি এক মাসের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছিল। এর জবাবে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে কেন্দ্রীয়ভাবে পাসপোর্ট তৈরির পর ডাক বিভাগের মাধ্যমে তা দেশের সব জেলা অফিস ও বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার কারণে এ পদ্ধতি বহাল থাকবে।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে অবৈধ ব্যবহারের কারণে ৪৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দুজন কর্মকর্তা ও চারজন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে সংসদীয় কমিটি কারাগারে হাজতি ও কয়েদিরা যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিত মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, নবম সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ৯১টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৪০টি প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ ও ১৩টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। ২৮টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বর্তমান সংসদে সর্বশেষ অধিবেশন পর্যন্ত সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী ৪৮৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪১টি সম্পূর্ণ ও ৪১টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। ৫৮টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নাধীন ও ৩৪০টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪১টি প্রকল্পের কাজের গড় অগ্রগতি ২৪ শতাংশ।
কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, আবদুল মজিদ খান ও মীর মোস্তাক আহম্মেদ অংশ নেন।