গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে একে অপরের পরিপূরক অভিহিত করে কষ্টার্জিত গণতন্ত্র যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে সকলে প্রচেষ্টা চালাবেন এবং গণতন্ত্র ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অগ্রাযাত্রা অব্যাহত রাখতে দল-মত নির্বিশেষ সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ভাষণকালে এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে সরকার অনেক কর্মসূচি নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা, আত্মসমালোচনা ও সহযোগিতা এবং একই সঙ্গে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি স্নাতক অর্জনকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা এখন দেশের উন্নত জনশক্তি এবং আমি আশা করি আপনারা আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করবেন।
আপনারা আপনাদের বিবেক দিয়ে কাজ করবেন। আপনারা অবশ্যই দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষার্থে অগ্রাধিকার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পুনর্গঠনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু জ্ঞানভিত্তিক ও কর্মমুখী সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষার সম্প্রসারণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিপূরক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শিক্ষাকে সেশনজট মুক্ত রাখা এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।
তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা কার্যক্রমে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।