হকারমুক্ত ফুটপাতে পথচারীদের স্বস্তি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: কর্মদিবসে রাজধানীর ফুটপাত ও রাস্তা হকারমুক্ত রাখার সিদ্ধান্তে সাধারণ পথচারীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। প্রতিবন্ধকতামুক্ত ফুটপাতে নির্বিগ্নে পথ চলতে পেরে তারা আনন্দিত।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানিয়ে বলেন, কোন রাজনৈতিক বা অন্য কোন কারণে যাতে কয়েকদিন পর আবার সিটি কর্পোরেশন তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসে, যে কোনমূল্যে এই অবস্থা ধরে রাখতে হবে।
ফুটপাত হকারমুক্ত করার পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের উপর গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, প্রকৃত হকারদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে এবং যাতে সরকারের পুনর্বাসনের সুবিধা ভূক্তভোগীরাই পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুবিধাভোগীরা যাতে সরকারের উদ্দেশ্য বানচাল করতে না পারে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের হকারমুক্ত ফুটপাতের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগের হিসাব শাখার কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘মুগদা থেকে নিয়মিত আমি ফুটপাত ধরে পায়ে হেঁটে সচিবালয়ে অফিস করি। হকারদের দখলে থাকার কারণে ফুটপাতে হাঁটতে অনেক সমস্যা হতো। অনেক সময় পথ চলতে হোঁচট খেতে হতো। কিন্তু এখন অনেক স্বাচ্ছন্দে পথ চলতে পারছি।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং সার্ভিসেস লিমিটেডের মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আমিনুল মমিন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের এটি একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। ফুটপাতের দোকানপাটের কারণে সারা ঢাকা শহরকেই মনে হতো একটা বাজার। যে যেখানে পারবে দোকান বসিয়ে দেবে, এটা হতে পারে না। কোন সভ্য সমাজে এমন বিশৃংখল অবস্থা বেশিদিন চলতে দেয়া যায় না। মেয়র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের উচিত মেয়রকে সহযোগিতা করা।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অভিভাবক শাহনাজ বেগম নদী বলেন, ফুটপাতে দিনের বেলা হকার বসতে না দেয়ার ব্যাপারে মেয়রের সিদ্ধান্তে আমরা অনেক খুশি। ফুটপাতে দোকানপাট না থাকায় এখন ভালভাবে হাঁটাচলা করা যায়। রাস্তায়ও যানজট অনেকটা কমে গেছে। রাস্তায় এখন ভালভাবে চলা যায়, যেখানে আগে হাঁটতে গেলে মানুষের গায়ের সাথে প্রায়শই ধাক্কা খেতে হতো। এখন আর তা হয় না।
একটি প্রাইভেট কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান সিটি কর্পোরেশনের হকারবিহীন ফুটপাতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা খুবই ভাল একটি কাজ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে মেয়রকে অনড় থাকতে হবে। কোন রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী মহলের চাপে মেয়র যাতে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসেন।
তিনি বলেন, সবকিছুকে একটা শৃংখলার মধ্যে আনা মেয়রের দায়িত্ব। ফুটপাত ও রাজপথ হকারমুক্ত করে মেয়র তার সঠিক দায়িত্বই পালন করছেন। তবে যানজট ও জঞ্জালমুক্ত শহর গড়তে মেয়রকে যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং, লেগুনা, বাস ও রিক্সাসহ গণপরিবহনকে একটা শৃংখলার মধ্যে আনতে হবে।
গত রোববার থেকে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে দিনের বেলায় ফুটপাত ও রাস্তা হকারমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসসিসি।