অড্রে হেপবার্নের কথা…
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা তাঁর মৃত্যুর ১৫ বছর পরে। প্রথম মুহূর্তেই ভক্ত বনে গেছি; কী দুর্দান্ত অভিনয়। কী সুন্দর বিষণ্ন চেহারা, আর কী চোখ আর হাসি! তাঁর বলা-চলার ঢংও কেড়ে নিয়েছিল সবটুকু মনোযোগ।
তিনি অড্রে হেপবার্ন; ইংরেজ অভিনেত্রী। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। ক্যানসারের আক্রান্ত হয়ে এই দিনে সুইজারল্যান্ডে মারা যান তিনি। গত শতকের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর মৃত্যুর কথা বলতে ভালো লাগছে না। বরং ঘুরে আসা যাক রুপালি জগতের অড্রে হেপবার্নের সোনালি সময় থেকে।
২০০৮ সালে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ছি। সাদা-কালো ছবি দেখার আগ্রহ তখনো তেমন জন্মায়নি। কিন্তু কোনো এক ক্লাসে ‘রোমান হলিডে’ ছবির গল্প শুনে মনে হলো; এই ছবি না দেখা রীতিমতো অন্যায়! দেখতে বসে মুগ্ধ হয়ে গিললাম অড্রের মোহনীয় রূপ ও দুর্দান্ত অভিনয়।
সেই থেকে শুরু। তারপর একে একে দেখি এই ফ্যাশন আইকনের ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’, ‘মাই ফেয়ার লেডি’, ‘সাবরিনা’, ‘দ্য নান’স স্টোরি’। ফার্মগেটের রাজাবাজারের ‘মাই ফেয়ার লেডি’ পারলারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ও চোখে ভাসে এই কিংবদন্তির মুখাবয়ব। কতবার ভেবেছি, তাঁর মতো করে চুল কাটাব। তবে নিজের চেহারার কথা মনে করে থেমে গেছি চুপচাপ।
১৯২৯ সালের ৪ মে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জন্মান অড্রে হেপবার্ন। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রী তাঁর অভিনয় দিয়ে শুধু হলিউড নয়, গোটা বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের হৃদয় কেড়েছেন। এই স্টাইল আইকন পছন্দের গয়না ছিল মুক্তার কানের দুল ও নেকলেস।
বৈবাহিক জীবনে আন্দ্রেয়া ডোট্টির সঙ্গে ১৩ বছর ও মেল ফেরেরের সঙ্গে ১৪ বছর সংসার করেন অড্রে হেপবার্ন। দীর্ঘ ৩৮ বছর জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করেন তিনি। এর অংশ হিসেবে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশেও এসেছিলেন অড্রে |