শিমের অপরিসীম উপকারিতা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শীতকালীন সবজি হিসেবে শিমের কদর বেশি। শুধু রসনাবিলাসই নয়, অন্যান্য খাদ্যগুণও রয়েছে। শিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এখন দেখা যাক, শিমের কী কী গুণাবলী রয়েছে-
এই সবজির খাদ্যগুণ:
১. শিম পরিপাকের জন্য খুব ভালো। এছাড়া দেহ ঠান্ডা রাখতেও শিম খাওয়া যায়।
২. শিমে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকে। তাই যারা সরাসরি প্রোটিন খান না, তারা শিম খেতে পারেন।
৩. বড় আকারের শিম রুচিকর, বাতের ব্যাথা, খিদে বাড়ায় ও মুখের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
৪. বিছে কামড়ালে শিমপাতার রস দিনে ২ বার করে ৩ দিন করে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
৫. শিমের ভিন্ন ধরণের পুষ্টিগুণ ও এটির মধ্যে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধে কাজ করে। এছাড়া চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৬. শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পরিচর্চার অভাবে চামড়ার উপরিভাগ ফেটেও যায়। নিয়মিত শিম মাখলে উজ্জ্বল ও নরম থাকে ত্বক। চর্মরোগও উধাও হয়ে যায়।
৭. শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু বাড়িয়েই দেয় না, রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে। বাজারে যতদিন শিম পাওয়া যায়, প্রতিদিনের খাদ্যসঙ্গী করুন।
৮. শিমের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ গুণ হল কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী।
৯. সাদা শিম বাতের ব্যাথা ও কফ বিনাস করে। হলদেটে শিম সবচেয়ে উপকারী।
১০. চুন ও শিম পাতার রসের প্রলেপ ২-৩ বার করে ৪-৫ দিন লাগালে কানের লতির বা কর্ণমূলের ফোলা কমে যায়। গলায় ব্যাথা হলেও ঘরোয়া এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।