সার্কের জন্য সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণের ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সার্কের জন্য সময়োপযোগী এবং ফলপ্রসূমুখী কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সার্কের কর্মকান্ড সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের ভিত্তিতে, সময়োপযোগী, ফলপ্রসূমুখী হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে সার্কের বিদায়ী মহাসচিব অর্জুন বাহাদুর থাপা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।
এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিবদমান সমস্যার ধরণ একই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে এই সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অনেক সমস্যারই সমাধান করতে পারি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা সার্ক সম্পর্কে বলেন, এই আঞ্চলিক সহযোগিতার মডেলটি প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুরই চিন্তা প্রসূত।
বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল) মোটর ভেহিকেল চুক্তির প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় চুক্তিটি দ্রুত কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘এটি এখন আমরা শুরু করতেই পারি।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং নেপালের যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের পারষ্পরিক স্বার্থেই এর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বলেন, এখন আমরা খাদ্য উৎপাদন আরো বৃদ্ধির জন্য দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফসলের জাত পরিবর্তনের দিকে নজর দিয়েছি।
বাংলাদেশের কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রসংগে সার্ক মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য সুবিধার বিষয় হচ্ছে তারা পুরো জমিটাই চাষ করতে পারে (সমতল ভূমি), যা আমরা পারি না।
সার্ক মহাসচিব বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি শুধু বাংলাদেশের নন, এই অঞ্চলেরই এক মহান নেতা।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশ তাঁর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে।
সার্কের বিদায়ী মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিবেশি হিসেবে এই বিষয় আমরা খুবই আনন্দিত’।
থাপা তার দায়িত্ব পালনকালীন তাকে সবরকমের সহযোগিতা প্রদানের জন্য এবং আট জাতির এই জোটকে শক্তিশালীকরণে অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষযক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সার্কের ১২তম মহাসচিব থাপা, এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ করবেন।
এর আগে তিনি নেপালের পররাষ্ট্র সচিব এবং জাতিসংঘে নেপালের স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।