হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। নয়তো অস্টিওআরথ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিসসহ বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬২৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স ও ট্রমাটোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাড়ের বিভিন্ন ক্ষয় প্রতিরোধে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে?
উত্তর: ছোটবেলা থেকেই আমরা যদি মাছ খাওয়ার অভ্যাস করি, মাছের কাঁটাসহ—তাহলে আমাদের শরীর ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এগুলো জিনিস পাচ্ছে। আমাদের হাড়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদানগুলো পাচ্ছে। আমাদের হাড় মজবুত থাকছে। তবে আমাদের দেশে অনেকেই এগুলো খেতে চান না। ছোট মাছ খেতে চান না।
এগুলো আমাদের ছোটবেলা থেকে অভ্যাস করতে হবে। আর বাসে যাঁরা বসেন, সামনের দিকে বসছেন, হাঁটুতে লাগিয়ে বসছেন। বাস ব্রেক করলে এখানে চাপ পড়ে। এতে হাঁটু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা থেকে তার একটি সমস্যা হয়ে যায়। তিনি যখন বাসে বসবেন, হাঁটুতে যেন চাপ না পড়ে সেভাবে বসার চেষ্টা করতে হবে।
অনেকে ভারি ওজন বহন করে। শরীরের সব জয়েন্টের ক্ষেত্রেই ভারি ওজন বহন করা ঠিক নয়। আর নিয়মিত যদি কেউ সাইকেল চালায় বা সাঁতার কাটার অভ্যাস থাকে, যারা গ্রামেগঞ্জে থাকে, তাদের সুযোগ বেশি। এই সমস্যাগুলো তারা অতিক্রম করতে পারে। আর চর্বিজাতীয় খাবার কমাতে হবে। আর কিছু কিছু খাবার আছে ইউরিক এসিড বাড়িয়ে দেয়। এতে ব্যথা বেড়ে যায়। যেসব খাবারে ইউরিক এসিড রয়েছে, সেগুলো সীমিত করতে হবে।
প্রশ্ন : সেগুলো কী?
উত্তর: সেগুলো বেশি থাকে ডালজাতীয় খাবারে। এগুলো প্রথম থেকে যদি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয়, লাল মাংসে ইউরিক এসিড বেশি থাকে। স্যুপ যে খাই, এর রসেও থাকে। বুঝতে হবে কোন খাবার খাব, কোনটি খাব না। যত্রতত্র উপকার করছে যে খাবার সেটি অন্য জনের অপকারও করে। তাই খাবার বুঝে খাওয়া ভালো।
সূত্র- এনটিভি